শিরোনাম
ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন,বীজের মানে কোনো রকম ছাড় দেয়া হবে না।
কৃষি উৎপাদনের মূল উপকরণ বীজ- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভালো ফলন ও উৎপাদনশীলতার জন্য মানসম্পন্ন বীজ অপরিহার্য। কাজেই, বীজের মানের বিষয়ে কোনো রকম ছাড় দেয়া হবে না। কৃষক যাতে শতভাগ আস্থার সাথে নির্দ্বিধায় বীজ ব্যবহার করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী আজ শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ সীড কংগ্রেসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, গেস্ট অব অনার হিসাবে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জ্যান বেলি, এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন, এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক সিড এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মনিশ প্যাটেল, ইন্টারন্যাশনাল সিড ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি মাইকেল কেলার বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সিড এসোসিয়েশনের সভাপতি এম আনিস উদ দৌলা।
ড. রাজ্জাক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন কৃষিবান্ধব সরকার সার, বীজসহ কৃষি উপকরণে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। বিগত ১৪ বছরে সার-বীজের কোনো সংকট হয়নি। বিশ্বব্যাপী সারের দাম চারগুণ বৃদ্ধি পেলেও সরকার দেশে সারের দাম বাড়ায়নি, বরং আগের চেয়ে চারগুণের বেশি ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে। বীজের দামও বাড়ায়নি। কৃষি উৎপাদন বজায় রাখতে আগামীতেও সার-বীজের দাম বাড়বে না।
বীজ কোম্পানিগুলোকে সততার সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নিম্নমানের বীজের বিষয়ে এখনো অনেক অভিযোগ আসে, কখনো কখানো খবর পাই যে, চারা অর্ধেক গজায়নি’
তিনি বলেন,এখনো কিছু কোম্পানির প্রতারণা করার প্রবণতা আছে। অনেক সময় কৃষকরা নিম্নমানের বীজ কিনে প্রতারিত হয়। এতে এক দিকে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অন্যদিকে উৎপাদন ব্যাহত হয়। এ বিষয়ে বীজ অ্যাসোসিয়েশনকে বীজের মানের ব্যাপারে কৃষকের শতভাগ আস্থা অর্জন করতে হবে। এতে বীজ কোম্পানিই উপকৃত হবে বেশি।
বিদেশ থেকে যেসব নতুন ফসলের বীজ দেশে আসছে, সে বিষয়েও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে ড. রাজ্জাক বলেন, এসব জাত দেশের জন্য কতটুকু উপযোগী, কোনো রোগব্যাধি বা জীবাণু আছে কি না, কৃষককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে কি না- সে-সব বিষয়ে কঠোরভাবে খতিয়ে দেখতে হবে।
মন্ত্রী কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদেরকে মানসম্পন্ন বীজ নিশ্চিত করতে কঠোরভাবে মনিটরিং করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তাকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।