বাসস
  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২৩:২২

বার্মা আইন আঞ্চলিক সহিংসতায় ভূমিকা রাখবে না : মার্কিন কর্মকর্তা

ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : সফররত উচ্চ-পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধিদল আজ ঢাকাকে আশ্বস্ত করেছে যে তাদের বহু আলোচিত বার্মা আইন বাংলাদেশে প্রভাবিত করে এমন কোনো আঞ্চলিক সহিংসতায় ভূমিকা রাখবে না। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ কথা বলেছেন।
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বলেন, ‘তারা (মার্কিন পক্ষ) বার্মা আইনের কথা উল্লেখ করেছে এবং আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে তারা এমন কিছু করবে না যা এমন কোনও সহিংসতায় অবদান রাখবে এবং যা এই অঞ্চলে মোটেই কাক্সিক্ষত নয়।’  
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম যে কিছু বিষয় আছে তা দেখার জন্য, যাতে আর কোনো অস্থিরতা না হয়। তারা (মার্কিন পক্ষ) আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, সেখানে (মিয়ানমারে) গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরাতে তাদের প্রচেষ্টা থাকবে।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দফতরের শীর্ষ এই আমলা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রও বার্মা আইন নিয়ে ঢাকাকে কোনো প্রস্তাব দেয়নি।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশের রাজধানীতে একটি হোটেলে প্রাতঃরাশের বৈঠকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাউন্সেলর ডেরেক শোলে তার সাথে যোগ দেওয়ার পর ঢাকা সম্প্রতি প্রণীত মার্কিন আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পর ওয়াশিংটনের এই আশ্বাস এসেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সিনিয়র পররাষ্ট্র নীতি উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শোলে তার দেশের সাত সদস্যের একটি আন্তঃসংস্থা প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন এবং পররাষ্ট্র সচিব ডঃ এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
 প্রাতঃরাশের বৈঠকে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মাসুদকে সহায়তা করেছিলেন।
বেশ কিছু বৈদেশিক সম্পর্ক এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এর আগে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে বার্মা আইনের ফলে মিয়ানমারের বর্তমান সামরিক জান্তার রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক কাউন্সিল (এসএসি) উপর মার্কিন চাপ বাড়বে এবং মিয়ানমারের জনগণকে আরও সাহায্য প্রদান করবে।
মাসুদ বলেন, ভাষানচরে মানবিক সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি রোহিঙ্গাকে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তর করার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
শোলে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ক্রমাগত কাজ করছে এবং বাংলাদেশকে সাহায্য করার চেষ্টা করছে কারণ তারা দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে এবং মিয়ানমারের সংকটের মূল কারণ মোকাবেলার চেষ্টা করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শোলে বলেন, ‘উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দাতা বাংলাদেশকে সহয়োগিতার জন্য আমরা প্রতিদিনই কাজ করছি তবে মূল কারণগুলোও মোকাবেলা করছি, যা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রয়েছে।’