শিরোনাম
ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি এম. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধান উভয়েই গতরাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা বাজার ছয় মিনিট আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পৌঁছেন। এর কিছুক্ষণ পর রাষ্ট্রপতি এম.আবদুল হামিদ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁেছন।
অমর একুশের ঐতিহাসিক অমর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি... আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি বাজানোর সময় রাষ্ট্রপতি হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধীরগতিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদির দিকে এগিয়ে যান।
রাষ্ট্রপতি প্রথমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। রাষ্ট্রপতির পর পরই প্রধানমন্ত্রী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তাঁরা ভাষা বীরদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশি কূটনীতিক, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষে শহীদ মিনারে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, তিন বাহিনীর প্রধানগণ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরআগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শহীদ মিনারে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।
পরে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার পক্ষে জাতীয় পার্টির নেতা জি এম কাদের কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তারও পরে পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণ, র্যাব, বিজিবি, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলমনাই এসোসিয়েশন,জাসদ নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে সর্বস্তরের জনগণের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।