শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস) : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি আবারও অগ্নিসন্ত্রাসের পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে অশুভ শক্তি কাজ করছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপতৎপরতা আবারও শুরু হয়েছে। পরপর কয়েক জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা তো অগ্নিসন্ত্রাসের মতোই। মার্কেটে কী আগুন লেগেছে নাকি লাগানো হয়েছে, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
সেতুমন্ত্রী আজ সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা’র রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদককের সঙ্গে সম্পাদকমন্ডলীর ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের যৌথ সভায় এসব কথা বলেন।
দেশের মার্কেট গুলোতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পাহারায় থাকবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্র, সংবিধান ও দেশের স্থিতিশীলতার প্রশ্নে শেখ হাসিনা আপসহীন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অগ্নিসন্ত্রাসের কালো ছায়ার আশঙ্কা আছে। ১৩-১৪-১৫ সালের মতো পদধ্বনি শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। দেশব্যাপী বিক্ষোভ, পদযাত্রা, মানববন্ধনে জনসমর্থন আদায় করতে পারেনি বিএনপি। জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি।
আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কেও কোনো সমস্যা নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কারো ফরমায়েশি গণতন্ত্র বাংলাদেশে চলবে না। বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি ইইউ, মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ সবাইকে জানানো হয়েছে। নির্বাচন হবে সংবিধান মাফিক, পরিচালনা করবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। সরকার এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।
দেশব্যাপী অসাম্প্রদায়িক শক্তির ঐক্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি চায় দেশে অস্বাভাবিক সরকার আসুক। তারা আবারও আগুন নিয়ে খেলা শুরু করল। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা শেখ হাসিনাকে হঠানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
সভায় সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরুল্লাহ, শাজাহান খান, কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার সম্পাদক ড.আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।