শিরোনাম
ঢাকা, ১৬ জুন, ২০২৩ (বাসস) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তীর সাথে বার বার ফিরে আসবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম।
তিনি বলেন, “১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু যেদিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন, সেদিন সাংবাদিকরা তাঁর কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি সেদিন শুধু রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতার লাইন উচ্চারণ করেছিলেন-‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই, নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’ তিনি সেদিন আর কোন বক্তব্য রাখেননি। প্রজাতন্ত্রের সূচনালগ্নে বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথের কবিতার লাইন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বাণী হিসেবে উচ্চারণ করলেন। স্বাধীনতার জন্য দেশের ৩০ লাখ মানুষ নিঃশেষে প্রাণ দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশে ফিরে এসে ১৯৭২ সালে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে কলকাতা থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে তাঁকে জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং তাঁর ‘চল চল চল’ কবিতাকে রণ সংগীত হিসেবে গ্রহণ করেন। সে বছরই তিনি ঘটা করে কবি নজরুলের জন্মদিন পালন করেন। আজকেও আমরা রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের জন্মোৎসব পালন করছি। রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তীর সাথে সাথে বার বার ফিরে আসবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম।”
বিশ্বকবি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমি আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগঠনের উপদেষ্টা দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এসব কথা বলেন।
উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ইন্সটিটিউট অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মঞ্চসারথি আতাউর রহমান। বক্তব্য রাখেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহবুব আমিন মিঠু।
ড. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের রচিত জাতীয় সংগীত মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে যেদিন বঙ্গবন্ধু ৬ দফা ঘোষণা করেন, সেদিনও ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ বাজানো হয়েছিল। প্রায়ই বঙ্গবন্ধু তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতায় রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের কবিতা ও গানের উদ্ধৃতি দিয়ে আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। কাজেই বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের অনেক প্রভাব রয়েছে।
সাংস্কৃতিক পর্বে গীতাঞ্জলির শিল্পীরা গান, আবৃত্তি, নৃত্য ও বাদ্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট লেখক, কবি, শিল্পী, সাহিত্যিকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।