শিরোনাম
ঢাকা, ২৫ জুন, ২০২৩ (বাসস) : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম আজ বলেছেন, যেসব মহল বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের অর্জন ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করছেন, তারা বাংলাদেশের শত্রু। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডিক্যাব’র আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “তারা কংগ্রেসম্যান, সিনেটর, প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিস্টার, ফরেন মিনিস্টার যেই হোন না কেন, তারা আমাদের শত্রু।”
বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সৈন্য পাঠানো দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তাদের যারা প্রমোট করেছেন, বাংলাদেশের মানুষের সময় এসেছে, তাদের চিনে নেওয়ার।” তিনি বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক (বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের অর্জনকে ক্ষুন্ন করা)। শান্তিরক্ষীরা আমাদের অহংকার। আমাদের শান্তিরক্ষীরা সারা বিশ্বে একটি উদাহরণ।” তিনি উল্লেখ করেন যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৬৭ জন শান্তিরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী এবং সামরিক কর্মীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠি সম্পর্কে তার মন্তব্য চাওয়া হলে, প্রতিমন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পর থেকে কিছু লোক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের ওই চিঠিগুলোর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর কোনো কারণ নেই, কেননা এগুলো তাদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ।” শাহরিয়ার বলেন, এটা অবধারিত যে- জাতীয় নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, এ ধরনের চিঠির সংখ্যা বাড়তে থাকবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমার কাছে দুটো চিঠির ড্রাফট আছে। বিএনপির লোকজন টাকা নিয়ে চিঠির ড্রাফট হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন রাজনীতিবিদের কাছে।”
এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ফর পিস অপারেশনস জঁ পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স এবং আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ফর ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, পলিসি অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স ক্যাথরিন পোলার্ডের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হয়।
বাংলাদেশে সফররত এই দুই আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে শাহরিয়ার আলম বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অবদানের জন্য বাংলাদেশ গর্ব বোধ করে। আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল তাকে শান্তিরক্ষা এজেন্ডা সংক্রান্ত জাতিসংঘের বর্তমান অগ্রাধিকার এবং ভবিষ্যৎ উদ্যোগ সম্পর্কে অবহিত করেন।
তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের সুদীর্ঘ ও বলিষ্ঠ অবদানেরও প্রশংসা করেন।