শিরোনাম
ঢাকা, ৪ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে নয় বরং জনসম্পৃক্ততা অব্যাহত রেখে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিভিআইপি) সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পিজিআরকে নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ সকালে ঢাকা সেনানিবাসে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) এর সদর দফতরে ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আপনাদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে ভিভিআইপিদের জন্য সর্বাত্মক, সমন্বিত ও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তবে নিরাপত্তার সাথে সাথে ভিভিআইপিদের জনসংযোগের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিতে হবে।
রাষ্ট্র প্র্রধান বলেন, ‘আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব একদিকে যেমন গৌরবময়, তেমনি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর।’
বিশ্বায়ন ও তথ্য প্রযুক্তির বর্তমান যুগে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পিজিআরকেও তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ ও কৌশলগত উৎকর্ষ অর্জন করার উপদেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, পিজিআর এর প্রতিটি সদস্যকে হতে হবে আরও চৌকস ও দক্ষ, যাতে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি তাৎক্ষণিক দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করতে পারেন।
দায়িত্বের গুরুত্ব ও পরিধি বৃদ্ধির সাথে সাথে পিজিআরের সাংগঠনিক কাঠামো বৃদ্ধি করা হয়েছে উল্লেখ করে, রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আগামীতেও দায়িত্বের ব্যাপকতা বিবেচনা করে এই রেজিমেন্টকে আরও সুসংহত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
রাষ্ট্র প্রধান আশা করেন যে, পিজিআর সদস্যরা ‘চেইন অব কমান্ড’ এর প্রতি সম্পূর্ণ আস্থাশীল থেকে তাদের উপর অর্পিত নিজ নিজ দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন।
প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের মান ও স্বকীয়তা বজায় রেখে রেজিমেন্টের অর্জিত গৌরব সমুন্নত রাখতে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
পিজিআরকে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষায়িত অংশ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা করেন সেনাবাহিনী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে কোন দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সফলতার সাথে পালন করতে সক্ষম হবে।
পরে, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন পিজিআর এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে একটি কেক কাটেন।
এরআগে রাষ্ট্রপতি কোয়াটার গার্ড পরিদর্শন এবং পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
তিনি সেখানে একটি গাছের চারা রোপন করেন এবং ফটোসেশনে অংশ নেন।
এসময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, পিজিআর কমান্ডার এবং রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।