শিরোনাম
ঢাকা, ১৮ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : সরকারী-বেসামরিক, স্বশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারি এবং পেনশনভোগীদের তাদের মূল বেতনের উপর ৫ শতাংশ বার্ষিক বিশেষ প্রণোদনা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
জাতীয় বেতন স্কেলের অধীনে, সরকারি চাকুরি আইন, ২০১৮ এর ১৫ ধারা অনুসারে, আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে এই ‘বিশেষ সুবিধা’ কার্যকর হবে। চাকুরিরত কর্মচারীরা চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে প্রতিবছর ১ জুলাই তারিখে প্রাপ্য মূল বেতনের ওপর ৫ শতাংশ হারে, তবে ১ হাজার টাকার কম নয়, ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন।
অবসর-উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা পিআরএল-এ যাওয়ার পূর্বকালীন সর্বশেষ প্রাপ্ত মূল বেতনের ভিত্তিতে উপরিউক্ত হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন। পুনঃস্থাপনকৃত পেনশনারসহ সরকার থেকে পেনশন গ্রহণকারীরা প্রতিবছর ১ জুলাই তারিখে প্রাপ্য নীট পেনশনের ওপর ৫ শতাংশ হারে, তবে ৫০০ টাকার কম নয়, ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন; যে সকল অবসর গ্রহণকারী কর্মচারী তাদের গ্রস পেনশনের শতভাগ অর্থাৎ সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক উত্তোলন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে এ ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রযোজ্য হবে না।
জাতীয় বেতনস্কেলে নির্ধারিত কোনো গ্রেডে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল বেতনের ভিত্তিতে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে, এরূপ চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত ব্যক্তি পেনশনভোগী হলে নীট পেনশন অথবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত পদের মূল বেতনের ভিত্তিতে যে কোনো এক ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রাপ্য হবেন। সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মচারীরা সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার তারিখের অব্যবহিত পূর্বের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ (অর্ধেক) এর উপর ৫ শতাংশ হারে এ ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন এবং বিনা বেতনে ছুটিতে থাকাকালীন কর্মচারীরা এ ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন না।
সরকারের রাজস্ব বাজেট থেকে প্রদত্ত অনুদানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য স্ব-শাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মচারীদেরকে এ ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রদান বাবদ প্রয়োজনীয় ব্যয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের নিজস্ব বাজেট থেকে মেটাতে হবে।