শিরোনাম
ঢাকা, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): পুলিশের এএসপি পরিচয় দিয়ে অভিনব কৌশলে প্রতারণা করে ভিকটিমদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া এক পেশাদার প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গ্রেফতার প্রতারকের নাম- ফখরুল ইসলাম বিজয় (৩০)।
সিটিটিসির এন্টি ইললিগ্যাল আর্মস অ্যান্ড ক্যানাইন টিম রোববার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের পূর্ব লামাপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক ফখরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৩ অক্টোবর জনৈক আল-আমিন ঢালীর ম্যাসেঞ্জারে একটি ফেইক ফেসবুক আইডি থেকে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও প্রেরণ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আল-আমিন ডিএমপি’র গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
তারা আরো জানায়, ফখরুল পরদিন ২৪ অক্টোবর বিকেল পৌনে ৬টার দিকে আল-আমিনকে ফোন করে হোয়াটসঅ্যাপে ওই জিডির কপি পাঠিয়ে নিজেকে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) এএসপি পরিচয় দেয় এবং এটিইউ’র সাইবার ক্রাইম বিভাগে কাজ করে বলে জানায়।
সূত্রটি জানায়, ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফখরুল ফোন করে ওই জিডির সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দিয়ে আল-আমিনের নিকট টাকা দাবি করে। সরল বিশ্বাসে ভিকটিম আল-আমিন প্রথমে তাকে দুই হাজার ১৯০ টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে ফখরুলের কথা মতো ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে সর্বমোট পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। কিন্তু সেই জিডির সমস্যা সমাধান করতে ফখরুল আরো দশ লাখ টাকা দাবি করলে আল-আমিন বুঝতে পারেন যে, ফখরুল একজন প্রতারক।
পরবর্তীতে আল-আমিন টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিলে প্রতারক ফখরুল তার ফেক ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ভিকটিম আল-আমিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর গুলশান থানায় একটি প্রতারণার মামলা করা হয়।
সিটিটিসি সূত্রে আরোও জানা যায়, মামলা পর আল-আমিন সিটিটিসিকে এই অভিনব প্রতারণার বিষয়টি অবহিত করলে সিটিটিসি এ বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারকের অবস্থান শনাক্ত করে। গত রোববার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের পূর্ব লামাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক ফখরুল ইসলাম বিজয়কে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে সিটিটিসি জানায়, প্রতারক ফখরুল কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে থানায় অথবা অনলাইনে দায়েরকৃত মিসিং জিডির কপি সংগ্রহ করতো। পরবর্তীতে নিজেকে এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) সাইবার ক্রাইমের এএসপি পরিচয় দিয়ে সেই জিডির সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দিয়ে ভিকটিমদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিতো।