বাসস
  ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:১৪

চট্টগ্রামে ২ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পুনঃতদন্তের নির্দেশ

চট্টগ্রাম, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রামে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পাঁচলাইশ থানার সাবেক ওসি নাজিম উদ্দিন মজুমদার ও একই থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আজ মঙ্গলবার অতিরিক্ত চিফ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান। 

তিনি বলেন, ‘মামলাটি সিআইডি (পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ) চুড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। কিন্তু আমরা সেই প্রতিবেদনে নারাজি দিয়েছিলাম। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমাদের আবেদন খারিজ হয়ে গেলে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করি। সেই প্রেক্ষিতে গত বছর আদালত আবেদন শুনানির জন্য অপেক্ষমান রাখেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘মহানগর দায়রা জজ আদালত এর শুনানির জন্য আবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠান। সেখানে শুনানি শেষে বাদীর নারাজি আবেদন গ্রহণ করে ওসি নাজিম এবং এসআই আজিজের বিরুদ্ধে করা মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তার মাধ্যমে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।’  

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ১০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোগী ও তাদের স্বজনদের করা আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। মানবিক এ আন্দোলন থেকে মোস্তাকিম নামে একজনকে মারতে মারতে গ্রেপ্তার করেন ওসি নাজিম। 

সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা ও কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পাঁচলাইশ থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মোস্তাকিমসহ ৬০জনকে আসামী করে মামলা করেন। এই মামলায় মোস্তাকিমকে কারাগারে পাঠানো হয়।  

জামিনে মুক্ত হয়ে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে পিটিশন মামলা করেন মোস্তাকিম। 

আদালত পিটিশনটিকে নিয়মিত মামলা হিসেবে পাঁচলাইশ থানায় রেকর্ডের আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলাটি এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা দিয়ে সিআইডিকে তদন্তের আদেশ দেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ১১ মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় সিআইডি।