জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ফাইল ছবি

সিলেট, ১২ জানুয়ারি ২০২৫ (বাসস): জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার উন্নয়নের চোখ আর কোথাও পড়েনি। তার চোখ শুধু ঢাকা থেকে তার বাপের বাড়ি টুঙ্গিপাড়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল।’

আজ রোববার মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জের কুরমা চা বাগানে চা শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সারজিস আলম। 

ন্যাশনাল টি কোম্পানিসহ সব চা বাগান অবিলম্বে চালু, শ্রমিক ও চা শিল্প রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ এবং মজুরি বৃদ্ধি, শিক্ষা, স্বাস্থ, বাসস্থান ও চাকরির নিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন দাবিতে চা শ্রমিকদের এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

সমাবেশে সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে চা শ্রমিকদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সারজিস আরও বলেন, ‘চা বাগানে কোনো মদের পাট্টা থাকা উচিৎ নয়, সেগুলো ভেঙে গুড়িয়ে দিতে হবে। কেবল তাই নয়; যেকোনো অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করতে হবে, এই সাহস চা শ্রমিকদের মাঝে জাগ্রত করতে হবে।’

সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে অর্থনৈতিক বৈষম্য, শোষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। চা শ্রমিক জনগোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে বৈষম্যের শিকার। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থায় অবাধ লুটপাট চা শিল্প ও শ্রমিককে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। চা শ্রমিকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, চাকরির নিশ্চিয়তাসহ সর্বোপরি চা শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নয়ন করতে হবে।’

চা ছাত্র যুব সংঘের আয়োজিত সমাবেশে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন মনু দলই ভ্যালির সভাপতি ধনা বাউরী’র সভাপতিত্বে ও চা শ্রমিক আপন বোনার্জী রুদ্র ও ভিম্পল সিংহ ভোলার যৌথ পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শ্যামলী সুলতানা জ্যানি, আসাদুল্লাহ গালিব ও কুরমা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউসুফ খাঁন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন-চা শ্রমিক কন্যা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাইরুন আক্তার, স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, কুরমা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশী, চা শ্রমিক নারী নেত্রী গীতা কানু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজমিন সুলতানা প্রমুখ।