বাসস
  ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩০

ইলেক্ট্রনিক এভিডেন্স যাচাইয়ে সিআইডি-কে নির্দেশনা দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল

ঢাকা, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): মামলার সাক্ষ্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল অথবা ইলেক্ট্রনিক এভিডেন্স যাচাইয়ে সিআইডি ও সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা-কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের একথা জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘যেকোনো ডিজিটাল তথ্য আদালতে পেশ করার আগে সেটি সঠিক কিনা ও সাক্ষ্য হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু, তা যাচাই করার প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে এ কাজের জন্য আমাদের সারটিফাইড অথরিটি হচ্ছে সিআইডি। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে স্বীকৃত হওয়ার জন্য ডিজিটাল তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর আদালতে প্রেরণের বিধান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনেও বলা আছে।’

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সূত্র থেকে ডিজিটাল সাক্ষ্য পাওয়ার পর, আমরা তা প্রথমে সাক্ষ্যমূল্য অনুযায়ী ছাঁটাই করেছি। সেই উপাত্তগুলোর ওপর (ডিজিটাল ) ফরেনসিক রিপোর্ট দেওয়ার জন্য সিআইডি’র কাছে পাঠানোর ব্যাপারে নির্দেশনা চেয়ে আমরা ট্রাইব্যুনালের কাছে একটি আবেদন করি। এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার পর, তথ্যগুলো যাচাইয়ে সিআইডি ও সকল সংশ্লিষ্ট সংস্থা-কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।’

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘কিছু সংস্থার কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে সেটি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান এবং কিছু ক্ষেত্রে জটিল ও সময়সাপেক্ষ। কিছু অফিসিয়াল তথ্য যথাযথভাবে পেতে যে সময় লাগার কথা, তার থেকে বেশি সময়ও লাগতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কলরেকর্ড, অডিও, ছবি ও মেসেজ ইত্যাদি যেমন তথ্য হিসেবে বিবেচিত হয়, সেইসঙ্গে মামলার সাক্ষীদের বা অন্য কোনো ব্যক্তির কাছে থাকা প্রাসঙ্গিক ছবি, দলিল ইত্যাদিও একইভাবে তথ্য হিসেবেই বিবেচিত হয়। তথ্য কোনো একজন বিশেষ ব্যক্তি বা সংস্থা ভেদে আলাদা নয়, বরং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানকালীন হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে প্রাসঙ্গিক সকল তথ্যই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল।’

এ সময় দেশ ও রাষ্ট্রের ক্ষতি হতে পারে কিংবা ন্যায়বিচার ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়, এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করা থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।