বাসস
  ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩৮

প্রতারণার অভিযোগে চারটি গাড়িসহ পাঁচজন আটক 

ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): পরস্পর যোগসাজশ ও প্রতারণার মাধ্যমে তিন কোটি টাকা মূল্যের চারটি গাড়ি আত্মসাতের অভিযোগে চারটি গাড়িসহ পাঁচ প্রতারককে আটক করেছে ডিএমপির তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন-জারাক আহমেদ (৩৮), আবুল কালাম (৩৮), মো. জামির হোসেন (৩৬), মো. সজল আহম্মেদ (৩০) ও আব্দুর রহমান রুবেল (৫৬)।

গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ধারাবাহিকভাবে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয় বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গাড়ি ব্যবসায়ী মো. ইমদাদুল হক খানের তেজগাঁওস্থ শো-রুমে এসে জারাক আহমেদ ও জামির হোসেন গত ২৬ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিক্রয়ের উদ্দেশে ৩ কোটি টাকা বাজার মূল্যের চারটি গাড়ি ডেলিভারি চালান মূলে ভাটারা থানার নর্দ্দা প্রগতি স্মরণি এলাকায় 'এবি ড্রাইভ লি.' এর শো-রুমে নিয়ে যায়।

পরবর্তী সময়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা গাড়িগুলো ফেরত দেবেনা বলে জানায় এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায় তারা গাড়িগুলো প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের উদ্দেশে অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে। এ ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি ইমদাদুল হক খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জারাক ও জামিরসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়।

গোয়েন্দা তথ্যের সহায়তায় ও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টায় গুলশান লিংক রোড এলাকা থেকে 'এবি ড্রাইভ লি.' এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারাক আহমেদকে আটক করা হয়।  

পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও কাশিমপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এজাহারভুক্ত অপর আসামি জামির ও তার সহযোগী আবুল কালামকে আটক করা হয়। এবং এ সময় তাদের দেওয়া তথ্যমতে একে একে বাকিদের আটক করে গাড়িগুলো জব্দ করা হয়।

উদ্ধার করা চারটি গাড়ি আটককৃতরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছিলো বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার নিবিড় তদন্ত ও আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।