শিরোনাম
ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪টি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, নড়াইল সদর উপজেলায় রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে নড়াইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে ১১ নম্বর বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের ডুমদী গ্রামের চারণ কবি বিজয় সড়ক হতে নন্দখোল জামে মসজিদের পূর্ব পর্যন্ত চলমান ২ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণকাজের রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
অভিযানকালে দেখা যায়, অভিযোগে বর্ণিত আলোচ্য রাস্তা নির্মাণে বেশ কিছু নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া বালি-ইট-খোয়ার মিশ্রনে খোয়া অনুপাতে কম ব্যবহার করা হয়েছে এমনটিও পরিলক্ষিত হয়। সার্বিক বিবেচনায় উক্ত রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে মর্মে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়।
রাঙ্গামাটি পাসপোর্ট অফিসে সেবা প্রদানে নানাবিধ অনিয়ম ও হয়রানির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের রাঙ্গামাটি সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অপর একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে প্রথমে টিমের সদস্যগণ ছদ্মবেশে অফিস প্রাঙ্গণে সেবাগ্রহীতা এবং অফিসের সামনে অবস্থিত দোকানগুলোতে পাসপোর্ট করার জন্য কথা বলে। টিম জানতে পারে, পাসপোর্ট প্রতি দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টাকা প্রদান করে ঝামেলামুক্তভাবে পাসপোর্ট করা যায়; অন্যথায় নানারূপ ঝামেলা তৈরি করে পাসপোর্ট তৈরিতে বাঁধা প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালকের সঙ্গে দেখা করে হয়রানিমুক্তভাবে দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করে পাসপোর্ট সেবার মান বৃদ্ধি, অফিসের নিরাপত্তা বৃদ্ধিসহ নানাবিধ পরামর্শ প্রদান করে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এদিকে বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভা ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পানির ট্যাংক ও ইউড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের বগুড়া জেলা কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে টিম প্রথমে শিবগঞ্জ পৌরসভা এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, শিবগঞ্জে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে অভিযোগে বর্ণিত সরেজমিন পানির ট্যাংক ও ইউড্রেন প্রকল্প পরিদর্শন করা হয়।
এছাড়া ন্যাশনাল ইলেকট্রোমেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেইনিং সেন্টারে ক্রয় কমিটির বিরুদ্ধে নিম্নমানের সামগ্রী গ্রহণ করে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী দল সেখানে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ক্রয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য গ্রহণ করে। প্রাথমিক পর্যালোচনায় অভিযোগে উল্লিখিত যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অসংগতি ও দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে বলে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়।
প্রতিটি অভিযানে প্রাপ্ত তথ্যাবলি ও এ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।