শিরোনাম
ফেনী, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার শহিদদের রক্ত ঋণ শোধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘শহিদের রক্তের ঋণ শোধ করতে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।’
আজ শনিবার ফেনী জেলা জামায়াতে ইসলামীর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
শহরের আল-জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলটির জেলা আমির মুফতি আবদুল হান্নান। প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি আবু তাহের মুহাম্মদ মাছুম।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, দেশের মানুষ ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালে ভোট দিতে পারেনি। লক্ষ লক্ষ মামলার শিকার হয়েছে। নিরপরাধ নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। অনেককে কারাবন্দি রেখে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। খুন, গুম, ক্রসফায়ারসহ সমস্ত অপরাধের মাস্টারমাইন্ড ছিল শেখ হাসিনা।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশকে জিম্মি করে রেখেছিল। প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতার প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ জালিম মুক্ত হয়েছে। এ গণঅভ্যুত্থানে অন্তত ৪০ হাজার ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন। আমরা স্বস্তি পেলেও তাদের চোখে এখনো পানি। অনেকে এখনও হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। শহিদের স্বজনদের আহাজারি থামেনি।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবদুর রহীমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, এ.কে.এম শামছুদ্দীন, মাওলানা আলাউদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিস শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. মো: ফখরুদ্দিন মানিক, কেন্দ্রীয় মজলিস শূরা সদস্য অ্যাডভোকেট এসএম কামাল উদ্দিন, জেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক আবু ইউছুপ ও মাওলানা মাহমুদুল হক।
জামায়াত সেক্রেটারি আরো বলেন, আমরা এত কর্মসূচি, এত আন্দোলন, জোটের পর জোট করেও যখন তাদের বিদায় করতে পারছিলাম না। অনেকে মনে করেছিলেন হাসিনা মরে না যাওয়া পর্যন্ত মনে হয় এ জুলুমের অবসান হবে না। দেশে-বিদেশে মানুষ কেঁদেছে। জুলুম-নির্যাতনে মানুষ যখন অতিষ্ঠ তখন ছাত্র-জনতার উত্তাল আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। ওরা চেয়েছিল একাই এ দেশকে শাসন করবে। আল্লাহ হয়ত কোন মজলুমের দোয়া কবুল করেছেন বলেই আসমান থেকে করুনা নাজিল করেছেন। আল্লাহর এ রহমতের শুকরিয়া জানাতে হবে। জামায়াতের প্রতিটি ইউনিটকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেন, এ অবাধ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এ জাতির জন্য মহা দুর্যোগ নেমে আসবে। কোনোভাবেই সেই সুযোগ দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ৫৩ বছর পর স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ তুলে যারা রাজনীতিক সুবিধা নিতে চান তাদের পুরোনো এ রেকর্ড নতুন প্রজন্ম শুনতে চায় না। এসব বলে যারা জাতিকে বিভক্ত করেছেন তাদের পরিণতি থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য তিনি আহবান জানান।