শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : সুফি সাধকদের মাজার ও দরবার রক্ষার্থে হামলাকারীদের বিচার ও সুফি স্থাপনার নিরাপত্তা প্রদানসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ব সুফি সংস্থা।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রতিনিধিরা এ দাবি উত্থাপন করেন। তারা বলেন, আর কোনো সুফি স্থাপনা কিংবা সুফি অনুসারীদের ওপর হামলা হলে ৫ হাজার পির মাশায়েখদের সংগঠন বিশ্ব সুফি সংস্থা ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবেলা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব সুফি সংস্থার পক্ষ থেকে বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিশ্ব সুফি সংস্থার কার্যনির্বাহী সদস্য হাসান শাহ সুরেশ্বরী দিপু নূরী। এসময় দেশের প্রসিদ্ধ বিভিন্ন দরবার শরীফ ও মাজার শরীফের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সদস্য ও আহতরা উপস্থিত ছিলেন।
বিগত ছয় মাসে ৮০টি মাজার ও দরবার ভাঙচুর হয়েছে উল্লেখ করে হাসান শাহ সুরেশ্বরী দিপু নূরী বলেন, ‘আমাদের দেশে সুদূর আরব ও পারস্য থেকে সুফি ও আওলিয়ায়ে কেরাম এসে ইসলাম প্রচার করেছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, যেই সুফিদের মাধ্যমে আমরা ইসলাম পেলাম, তাদের দরবার ও মাজার শরীফ ভাঙচুর লুটপাট হচ্ছে এবং নির্মম অত্যাচার ও অমানবিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব সুফি সংস্থার পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- অবিলম্বে দেশের সকল মাজার শরীফ ও দরবার শরিফে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং এসব দরবার ও মাজারসমূহের খাদেম ও ভক্তদের হত্যা এবং জখমের ঘটনা বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষী, মদদদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করা।
অগ্রাধিকারভিত্তিতে দেশের সকল সুফি দরবার, খানকা, মজলিশ, আস্তানা, আখড়া, মাজার শরীফসহ সকল সুফি স্থাপনা ও নিদর্শনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সুফি-বাউল-ফকির-দরবেশদের নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে নিজ নিজ আচার-অনুষ্ঠান ও রীতিনীতি পালনের নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে বাংলাদেশ পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসারসহ সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সামরিক বাহিনীর প্রতি নির্বাহী আদেশ প্রদান।
এছাড়া, ধর্মীয় সম্প্রীতি, সহাবস্থান ও দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কোনো ওয়াজ মাহফিলে কিংবা মসজিদের খুৎবায় যেন সুফিবাদ, মাজার, দরবার, ওলি-আল্লাহ বিরোধী বক্তব্য দেওয়া না হয় সেজন্য দেশের সকল মসজিদ, কওমি মাদ্রাসা ও আলীয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ধর্ম মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি ও প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে নির্দেশ প্রদান করার দাবি তোলা হয়। পাশাপাশি ধ্বংসযজ্ঞের শিকার সকল দরবার, মাজারের অর্থনৈতিক ক্ষতি নিরূপণ করে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং যারা নিহত ও আহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে এই সংবাদ সম্মেলনে।