শিরোনাম
ঢাকা, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ ৭৮ বছরে পা দিয়েছেন। তিনি ১৯৪৮ সালের এই দিনে ঠাকুরগাঁওয়ের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।
সকালে ঘুম ভাঙে দু’মেয়ের ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ শুনে এবং নাতি-নাতনীদের আনন্দ চিত্তে নানাকে জন্মদিনের শুভ কামনা জানিয়ে ‘উইশ’ করায় মির্জা ফখরুল ইসলাম বুঝতে পারেন তিনি ৭৮ বছরে পা দিয়েছেন।
বিএনপি’র মহাসচিব নিজেই উপরোক্ত কথাগুলো ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের জানান, ‘এটা অন্যরকম এক আনন্দ। ২৬ জানুয়ারি জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকেই বন্ধু, স্বজন, নেতাদের অনেকে টেলিফোন করে আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সকালবেলা স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও এক কাপ চা দিয়ে জন্মদিনের ‘উইশ’ করেছেন। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, সিনিয়র নেতারাও টেলিফোন করেছেন।
‘শরীরটা ভালো যাচ্ছে না’ জানিয়ে বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, ‘এবার আমার গোটা পরিবারই ঢাকায়। তাই পরিবারের একসাথে এবার এই দিনটি কাটাতে পেরেছি।’
গতকার শনিবার দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিট থেকে ভার্চুয়ালি প্রিয়জন, শুভাকাঙিক্ষ দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় ৭৭তম জন্মবার্ষিকী ও ৭৮তম জন্মদিনে সিক্ত হতে থাকেন তিনি।
বিশেষ করে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জন্মদিনে অনেকেই শুভেচ্ছা জানানোর পাশপাশি তার শারীরিক সুস্থতা ও রাজনৈতিক সফলতা কামনা করেন।
আজ রোববার দিনভর সরাসরি সাক্ষাত এবং ফোন করে দলীয় শুভানুধ্যায়ী, শিক্ষাবিদ, সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতারা, বিএনপি বিটের রিপোর্টার এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতরা তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
দু’মেয়ে নিয়েই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রাহাত আরা বেগমের সংসার। বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ অস্ট্রেলিয়ায় স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। সিডনির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ নিয়ে এখন ক্যানবেরার ফেডারেল মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। কয়েকদিন আগেই মির্জা শামারুহ ও তার স্বামী ঢাকায় এসেছেন। ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ রাজধানীর একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন।