বাসস
  ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:০৬
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫৯

মানুষ আওয়ামী লীগের শাস্তির অপেক্ষায় আছে: রুহুল কবির রিজভী

আজ পল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। ছবি: বাসস

ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ হরতালের ডাক দিলেই মানুষ লাফ দিয়ে পড়বে,এমনটা কখনোই হবে না। বরং মানুষ এই ফ্যাসিস্ট দলটির শাস্তির জন্য অপেক্ষা করছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য আওয়ামী লীগের হরতাল কর্মসূচি প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী রিকশাচালক মামুনের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে শহিদদের পরিবার এবং আহতরা বিচার চায়। আহনাফের মতো ছেলেকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নির্দেশে গুলি করা হয়েছে। শেখ হাসিনার কাছে নারী শিশুর কোনো মূল্য নেই, একটাই মূল্য সিংহাসন। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ এক নারী।’

ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় শীর্ষ সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো পদক্ষেপ দেখি না। অথচ কিছুদিন আগেও এই বিএনপির পার্টি অফিস থেকে মিছিল বের হলেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চারদিক থেকে মৌমাছির মতো আক্রমণ করতো।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা বাঁশঝাড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকলেও র‌্যাব, পুলিশ গিয়ে তাদের খুঁজে বের করে আনতো। আর আজকে যারা অপরাধী তাদের গ্রেপ্তার করে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা আনতে চোখে পড়ার মতো উদ্যোগ নেই।

বিএনপির এই নেতা বলেন,যারা আবু সাঈদ, মুগ্ধকে হত্যা করেছে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক। তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। এসব অপরাধীদের কারা রেহাই দিচ্ছে তাদেরকেও আমরা চিহ্নিত করে রাখছি। এদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপরাধীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকেই বাদী হয়ে মামলা করা উচিত।

সালমান এফ রহমান প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দরবেশ ব্যাংক ধ্বংস করেছে, শেয়ার বাজার ধ্বংস করেছে। তিনি আবার নিজের ছাই থেকে জন্ম নিতে চাচ্ছেন। অথচ তার বিচারের গতি নেই। অন্তবর্তী সরকারের উচিৎ সালমানের মতো দুর্নীতিবাজদের বিচার কাজ দ্রুত শেষ করা। তা না হলে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা কমতে থাকবে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল তার শ্বশুরের নামে একটি ফাউন্ডশেন করেছিলেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, দুদক খোঁজ করে দেখেছে এই নামে কোনো ফাউন্ডেশন নেই। হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় একটি ফাউন্ডেশন করেছিল, সেটি খুঁজে দেখা গেছে নেই। প্রতারক যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকে তার সন্তানদেরও প্রতারক বানায়। তার প্রমাণ হচ্ছে শেখ হাসিনা ও তার ছেলে-মেয়েরা।

আমরা বিএনপি পরিপারের- আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত প্রমুখ।