শিরোনাম
টাঙ্গাইল, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের আজ সব রাজনৈতিক দলকে আহবান জানিয়ে বলেছেন, জাতীয় ঐক্যের মধ্যদিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। দলীয় স্বার্থে আমরা যেন আর অন্ধ না হই, কেউ যেন ভারতীয় সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা না করি।
ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আর কোন পরাশক্তির কাছে বাংলাদেশ মাথানত করবে না।
শনিবার দুপুরে জেলা শহরের পৌর উদ্যানে জেলা জামায়াতের ওয়ার্ড প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সাবেক এমপি তাহের বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হতে হবে, কেউ সুুষ্ঠু নির্বাচনে বাঁধা হলে তাঁকে বিচারের মুখোমুখী করতে হবে। আগামীতে জামায়াত নির্বাচিত হলে সব মানুষের জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হবে। ৫ আগস্ট বিপ্লবের বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্র জাতি সহ্য করবে না।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ অনেক রাজনৈতিক মতবাদ ও দফার শাসন দেখেছেন, সোনার বাংলা-সবুজ বাংলা-নতুন বাংলার স্লোগান শুনেছেন। কিন্তুু কোন স্লোগানই বাংলার মানুষকে মুক্তি দিতে পারেনি। যদি মুক্তি দিতে পারতো চালের কেজি ৭০ টাকা হতো না। ফেলানির লাশ সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলতো না। শুষ্ক মৌষুমে ফারাক্কায় গরুর গাড়ি পারাপারের দৃশ্য আমাদেরকে দেখতে হতো না। এবার মানুষ ইসলামী শাসন দেখতে চান। কৃষক-শ্রমিকসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষ মুক্তি পেতে জামায়াতে ইসলামীকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে চায়।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিটি কর্মীকে দায়িত্ব পালনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের প্রস্তুুতি নিতে হবে। আগামী নির্বাচন জামায়াতে ইসলামীর জন্য ৫ আগস্টে আল্লাহপাকের রহমতের মতোন আর একটি রহমত হতে পারে।
টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আহসান হাবীব মাসুদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন, জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, সহাকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম খান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ড. আতাউর রহমান, অধ্যক্ষ মোন্তাজ আলী, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি ডা. একেএম আব্দুল হামিদ, অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হোসাইন, গোপালপুর উপজেলা আমীর মো. হাবিবুর রহমান তালুকদার ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সেক্রেটারি মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।