শিরোনাম
ঢাকা, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বঙ্গবন্ধু সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধু সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে জনবল নিয়োগ ও হাসপাতাল পরিচালনায় অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম হাসপাতালের পরিচালকের সাথে সাক্ষাৎ করে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় যন্ত্রপাতি ক্রয় সংক্রান্ত অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এছাড়া প্রকল্পের অর্থায়নে ১৫৭ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ শেষে অত্র প্রতিষ্ঠানে অন্তত ৫ বছর চাকরি করবেন এ ধরনের শর্তে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হলেও, প্রশিক্ষণ শেষে ৮৫ জন কর্মকর্তা হাসপাতালে যোগদান করেননি বলে টিম জানতে পারে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে প্রেরণের অনিয়মের সত্যতাও পাওয়া যায়। এছাড়া হাসপাতালের অভ্যন্তরে ২টি ব্যাংক ও একটি ফার্মেসি পরিচালনায় অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র যাচাই করে কমিশনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এদিকে পায়রা বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালানো হয়। অভিযান পরিচালনাকালে এনফোর্সমেন্ট টিম সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে এবং সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, পায়রা পোর্ট ফাস্ট টার্মিনাল এন্ড কানেক্টিভিটি প্রজেক্টে জেটির পাইলিং দরপত্রে ইস্পাত দিয়ে করার কথা থাকলেও বেশিরভাগই কংক্রিট দিয়ে করা হয়েছে। এতে ব্যয় হ্রাস হওয়ার কথা থাকলেও ব্যয় হ্রাস পায়নি। এছাড়াও, এই প্রকল্পের টার্মিনাল ব্যাকআপ ইয়ার্ডে ভরাট কাজে লোকাল বালু ব্যবহার করা হয়েছে মর্মে টিম জানতে পারে। এই প্রকল্প সম্পর্কে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে, প্রকল্পের আওতায় যে সকল রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও, নির্মাণের কয়েকদিন পরেই রাস্তার বিভিন্ন স্থান ধসে গেছে- দুদক টিমের সরেজমিনে পরিদর্শনে এরূপ পরিলক্ষিত হয়।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ও গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে অনুমোদন ব্যতিরেকে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দ্বারা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (গাউক) -এর প্রতিনিধিসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের গাজীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় আজ অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায়। অভিযানকালে নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে দেখা যায়, ভবনটির ৩ তলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়েছে। ভবনটি অনুমোদিত নকশার বাইরে নির্মাণ করা হয়েছে কিনা এবং তা ঝুঁকিপূর্ণ কিনা তা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা সাপেক্ষে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।