শিরোনাম
ঢাকা, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত জানুয়ারি মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৬২ কোটি ৫২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে।
এছাড়া সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬৩ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৩০৮ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ১৮ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে ১ হাজার ৫ শ’ ৩৮ জন মিয়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি এ সব তথ্য জানিয়েছে।
জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৪ কেজি ৩৬৯ গ্রাম স্বর্ণ, ৪ কেজি ৫২৯ গ্রাম রূপা, ২১০ গ্রাম ডায়মন্ড, ১০ হাজার ১ শ’ ৮৭টি শাড়ী, ৩ হাজার ৯ শ’ ৯৫টি থ্রিপিস, শার্টপিস, চাদর, কম্বল, ৭ হাজার ২ শ’ ৮৮টি তৈরী পোশাক, ২ হাজার ৬ শ’ ৯৮ মিটার থান কাপড়, ৩ লাখ ৫ হাজার ৮ শ’ ২০টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ১ হাজার ৩৭টি ইমিটেশন গহনা, ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৪ শ’ ৬১টি আতশবাজি, ৪ হাজার ৩ শ’ ৫০ ঘনফুট কাঠ, ৪ হাজার ২ শ’ ৬২ কেজি চা পাতা, ১৫ হাজার ৬ শ’ ৫৬ কেজি সুপারি, ৪ লাখ ২০ হাজার ৩ শ’ ৫২ কেজি চিনি, ২ হাজার ৩ শ’ ৫৬ কেজি সার, ২ হাজার ৬ শ’ ৪১ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার বীজ, ৮২ হাজার ১ শ’ ২৫ কেজি কয়লা, ৭ শ’ ৩০ ঘনফুট পাথর, ১ হাজার ৬ শ’ ২টি মোবাইল, ৪৯ হাজার ৫ শ’টি চশমা, ১ লাখ ৭ হাজার ২ শ’ ২৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার ফল, ৩০ হাজার ৮ শ’ ৩৭ কেজি রসুন, ১৯ হাজার ৪ শ’ ৯৫ কেজি জিরা, ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৯টি ট্রাক, ১২টি পিকআপ, ৪টি প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস, ২টি ট্রলি, ৪৩টি নৌকা, ৩৪টি সিএনজি ও ইজিবাইক, ৫৩টি মোটরসাইকেল এবং ১৯টি বাইসাইকেল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৩টি পিস্তল, ১টি রাইফেল, ২টি এয়ার গান, ১টি ম্যাগাজিন, ২৪ রাউন্ড গুলি, ১টি অটো এয়ার রাইফেল ও ১টি শর্ট গান।
এছাড়াও গত মাসে বিজিবি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ২ শ’ ৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ কেজি ১৩০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৮ কেজি ৯ গ্রাম হেরোইন, ৪২৬ গ্রাম কোকেন, ২৮ হাজার ৫ শ’ বোতল ফেনসিডিল, ১৮ হাজার ৬ শ’ ৫৫ বোতল বিদেশী মদ, ১৮১ লিটার বাংলা মদ, ৪৯৮ বোতল ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৭৬০ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৭৭ হাজার ৯ শ’ ১৭ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৪৮ হাজার, ৮৩৫টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ও ইনজেকশন, ৪ হাজার ৬ শ’ ৪২ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৬০৯ বোতল এমকেডিল ও কফিডিল, ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৩ শ’ ৭২ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ও ট্যাবলেট এবং ৯২ হাজার ৪ শ’ ৬৪টি এ্যানেগ্রা ও সেনেগ্রা ট্যাবলেট।