বাসস
  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:২০

আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করলে তাদের পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

শেরপুর, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করাসহ ভারতের স্বার্থ রক্ষার রাজনীতি যারা করবেন, তাদের অবস্থা হবে ধানমন্ডি ৩২-এর মতো।

আজ রোববার দুপুর ২টায় শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির হল রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে তাদের সেই স্বৈরাচার শাসনামলের অবসান ঘটে।

তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৪৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় আসার কথা। কিন্তু এই টাকাটা দেশে আসেনি। এই টাকাটা পাচার হয়ে গেছে। কাজেই সেই বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে যেভাবে রেখে গেছে- সেখানে বাংলাদেশে এখন দুর্ভিক্ষ হওয়ার কথা ছিল, সেখানে এখন গৃহযুদ্ধ চলবার কথা ছিল।

এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আগষ্টে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছিল, দেশে দেশে লক্ষ লক্ষ লোক মারা যাবে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে কোথাও এরকম ঘটনা ঘটেনি। কারণ বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষ থেকে রক্ষা করেছে। আমাদের সকলের উচিৎ বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করা।

তিনি বলেন, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস ছাড়া অর্ন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব যদি অন্য কেউ পেত, তাহলে ভারত ও আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে জঙ্গী রাষ্ট্র বানিয়ে দিতো। ভারত যে পরিমাণ মিস ইনফরমেশন, ডিজ ইনফেকশন, প্রোপাগান্ডা ও মাইনোরিটি নির্যাতনের নাটকের গল্প দেখিয়েছে, তাতে আমরা বাইরের দেশের কাছে খুব বিব্রতকর অবস্থায় পড়তাম।

ফুয়াদ বলেন, তিনি (প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস) থাকাতে আওয়ামী লীগ সারা বিশ্বকে এই গাল-গল্প বিশ্বাস করাতে পারে নাই। ওনার মত একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বকে যে আমরা আমাদের সরকারের সম্মুখ ভাগে পেয়েছি, এটা আমাদের জন্য বড় একটা ইতিবাচক বিষয়।

তিনি আরো বলেন, ‘অনেক রাজনীতিবিদ বলেন, যেন দেশে দ্রুত একটি জাতীয় নির্বাচন দেওয়া হয়। সত্যিই কি নির্বাচন প্রয়োজন? এবি পার্টি মনে করে, না। কারণ ফ্যাসিস্টদের বিচার ও দেশ পুনঃসংস্কার না করে এই মুহুর্তে নির্বাচন দেওয়া উচিৎ হবে না। তাহলে পুনরায় দেশ কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হবে।’

ফুয়াদ আরো বলেন, অর্ন্তবর্তী সরকারের এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু তারা এটা পেরে উঠছে না। কারণ আইন-শৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনী নিয়েও রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার লোক নিয়োগ হয়েছে। এখন তাদের বাতিলও করা যাচ্ছে না, আবার কাজেও লাগানো যাচ্ছে না।

মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মোমেন শাহী জেলার আহ্বায়ক শাহজাহান মল্লিক, শেরপুর জেলার সদস্য সচিব মুকসিতুর রহমান, এবি পার্টির সহকারী প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ, জামালপুর পৌরসভার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান বুলবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান, জামালপুর এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক শিহাব ইসলাম, শেরপুর জেলা যুব পার্টির আহ্বায়ক এস এম শাহাদাত হোসেন শিবলু ও যুগ্ন আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ সিদ্দিকী প্রমুখ।