বাসস
  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৪১

ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলায় দুই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রিমান্ডে

ঢাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): কক্সবাজারের চকরিয়ায় কাকারা ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই চেয়ারম্যানের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাকির হোসেন সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে চকরিয়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আনোয়ারুল কবির আসামিদের উপস্থিতিতে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দুই আসামি হলেন- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল করিম সাঈদী এবং পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পেকুয়া যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর বিএনপির ডাকা সারাদেশের কর্মসূচি পালন করার জন্য কাকারা ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন মিছিল বের করে। ওইসময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালালে গুলিতে ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান নিহত হন।

এ ঘটনায় নিহত মিজানের বাবা শাহ আলম বাদি হয়ে চকরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১৮২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। 

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদী পালিয়ে আত্মগোপন করেন। গত বছরের  ১৯ ডিসেম্বর পলাতক অবস্থায় ফেনী থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক  চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে এই মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাকেও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

পুলিশ জানান, পেকুয়ার জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে অপর এক হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছে। পেকুয়ার শিক্ষক মো. আরিফ হত্যা মামলার আসামি তিনি। তাকেও গত বছরের ১৩ অক্টোবর আত্নগোপনে থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম থেকে র‌্যাব গ্রেফতার করে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, কাকারা ইউনিয়নের পুলেরছড়া এলাকায় মিছিলে গুলি করে ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমানকে হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি ফজলুল করিম সাঈদী এবং জাহাঙ্গীর আলমকে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফয়জুল কবির বলেন, দুই উপজেলার সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যানের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করলে আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।