বাসস
  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৪১

গুম, খুন, গণহত্যার বিচার না করলে খুনীরা আবার রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠবে : এবি পার্টি 

বক্তব্য দেন দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। ফাইল ছবি

ঢাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (বাসস): গুম, খুন, গণহত্যার বিচার না করলে খুনীরা সুযোগ পেলে আবার রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠবে। গণঅভ্যুত্থানের সকল পক্ষকে তারা আবার আয়নাঘরে বন্দী করবে। 

আজ বৃহস্পতিবার গুম, খুন ও আয়নাঘরের নৃশংসতায় জড়িত খুনিদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু এ কথা বলেন।

এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় রাজধানীর বিজয় নগরস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বরে বিকেলে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান বিএম নাজমুল হক, লে. কর্ণেল (অবঃ) দিদারুল আলম, লে. কর্নেল (অবঃ) হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদসহ দলের সিনিয়র নেতারা বক্তব্য রাখেন । 

সমাবেশ থেকে মজিবুর রহমান মঞ্জু ভারত সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে আপনাদের দেশ থেকে বহিস্কার করুন, তা না করলে নিজেদেরকে গণতন্ত্রী ও মানবাধিকার রক্ষাকারী হিসেবে পরিচয় দেবেন না।

৫ আগস্ট সরকারের পতন না হলে আন্দোলনকারীদের অনেকেই পরে গুম,খুনের শিকার হতেন আশাংকা প্রকাশ করে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতেই আমরা গুম খুনের বিচার চেয়েছি। তখন সরকার বলেছে আয়নাঘর নামে কিছু নাই। আয়না ঘর থেকে ফিরে আসা একজন সেনা কর্মকর্তা আয়না ঘরের লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছিলেন।  কিন্তু আওয়ামীলীগ ও তার দোসররা এটাকে বার বার অস্বীকার করেছে। আজ গুম কমিশন যখন তদন্ত করে আয়না ঘর বের করেছে, প্রধান উপদেষ্টা দেশী-বিদেশী সাংবাদিকদের নিয়ে আয়না ঘর পরিদর্শন করেছেন তখন তাদের আসল চেহারা প্রকাশ হয়ে পড়েছে। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে আমরা বার বার বলেছি এই দিন চিরদিন থাকবে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, শহিদের রক্তের দাগ শুকানোর আগেই এখন আমরা শুনি কেউ কেউ বলেন, বার বার ফ্যাসিবাদ নাকি শুনতে ভালো লাগেনা। কেউ কেউ আওয়ামীলীগকে ক্ষমা করার কথা বলেন। আমরা এবি পার্টি বলি, সবার আগে আমার ভাইয়ের, বোনের খুনীদের বিচার চাই। 

আমলা, সাংবাদিক, পুলিশ ও সামরিক প্রশাসনের কর্তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, সবাই আন্তরিক ভাবে বিচারকাজে সহায়তা করুন, নইলে আপনাদেরও হাসিনা একসময় আয়না ঘরে ঢুকাবে। 

দলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলের ১৬ বছরে যে গুম, খুন, গনহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ ও শত শত আয়নাঘরের বন্দীশালা করা হয়েছিল তার তুলনা শুধু হিটলারের নাৎসী আর মুসোলিনীর ফ্যাসিষ্টদের সাথে হতে পারে। হাজার হাজার নাগরিকের জীবন, লাশ, পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের স্মৃতি পর্যন্ত হারিয়ে গেছে, তাদের গল্প জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের পক্ষ থেকে আজ স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। আমরা জাতিসংঘ এবং অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি বঙ্গীয় হিটলারের আয়নাঘরের নির্যাতনকে দুনিয়ার সামনে তুলে ধরবার জন্য। আমরা জাতীয় ঐক্যমত কমিশনকে আহ্বান করছি নতুন বাংলাদশকে মানবাধিকারের ভিত্তিতে গড়ে তুলুন।