বাসস
  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪৭

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার মানুষের সেন্টিমেন্ট ধারণ করে: রিজভী

বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার জনসমর্থিত। এই সরকার সবসময় মানুষের সেন্টিমেন্ট ধারণ করে কাজ করে।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ মিলনায়তনে এ আলোচনার আয়োজন করে 'ভয়েস অব দ্য নেশন।'

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া দরকার। এ সময়টা যেন খুব বেশি প্রলম্বিত না হয়। নির্বাচন যদি খুব বেশি দেরি হয় তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দেবে। কারণ, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার জনসমর্থিত সরকার। এই সরকার সবসময় মানুষের সেন্টিমেন্ট ধারণ করে কাজ করে।’

স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, প্রথমে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন ঘটে। সেই মূল কাজ বাদ দিয়ে যদি সাবসিডিয়ারি কাজ প্রথমে শুরু করে দেয়, তাহলে এটা গ্রহণযোগ্য হবে না।

রিজভী বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসি এখনো সর্বেসর্বা। রাজনৈতিক সরকার গঠিত হওয়ার পর ইসি কেন জানি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছুটা অধীন হয়ে পড়ে, পরাধীন হয়ে যায়। আইন, সংবিধান বলে তাদের যে নিজস্ব স্বাধীনতা সেটি তারা প্রয়োগ করতে চান না বা পারেন না। নিজে নিজেই দুর্বল হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সময় অনেক ক্ষেত্রেই হস্তক্ষেপ হয়, অনেক ঘটনা ঘটে। এখানে একটা প্রবেশন (সংশোধন) থাকা দরকার, যে দলীয় সরকার থাকবে কিন্তু ইসি পরিপূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে।

রিজভী বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমার প্রার্থীকে জেতাতে হবে এমন মনোভাব থাকলে অবাধ নির্বাচন থাকবে না। আমিই সব, আমার দল সব, অন্যকিছু নেই- এ ধরনের চেতনার পরিবর্তন করতে হবে। এর পরিবর্তন করতে পারলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা হলো- জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেওয়া মানে হলো, রাজনীতিবিদদের অবিশ্বাস করা।

বিগত সরকারের সময়ে ইসি তার নিজস্ব স্বাধীনতা খর্ব করতে প্রস্তাব দিয়েছিল জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, তাদের অনেক ক্ষমতা সরকারের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল। কী অনুগত ইসি ছিল, যারা কমিশনার ছিলেন তাদের সরকার বেছে-বেছে নিয়েছে। যারা তাদের জন্য স্লোগান দিতে পারে। ফলে ইসির স্বাধীনতা কী এটা তারা বুঝতে চাইতো না। তারা যেটা মনে করতেন আমি কতটুকু কি করলে প্রধানমন্ত্রী খুশি হবেন, সেই কাজটাই তারা করতেন।

দেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ এহসান কবির শানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন - সংগীত পরিচালক ইথুন বাবু, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ প্রমুখ।