বাসস
  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৩০

অন্ধকার ঘুচাতে চাই সাংস্কৃতিক জাগরণ: কাদের গনি চৌধুরী

সাংস্কৃতিক জাগরণ: কাদের গনি চৌধুরী। ছবি : বাসস

ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, সমাজের অন্ধকার ঘুচাতে ও অন্যায়-অপরাধ নির্মূল করতে হলে বিশেষ করে তরুণদের সাংস্কৃতিক জাগরণ প্রয়োজন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে মুক্ত বাংলাদেশে 'স্বাধীন শিল্প সংস্কৃতি চর্চা' শীর্ষক আলোচনা এবং জুলাই ২০২৪ ছাত্র আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত চলচ্চিত্র 'দ্যা রিমান্ড' এর টিজার প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি  আজ একথা বলেন।

তিনি বলেন, তরুণদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাবতে হচ্ছে। আমাদের তরুণদের আলোকিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত করতে হলে তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের প্রতি উৎসাহিত করতে হবে। তাহলে তারা মননে ও আচরণে আলোকিত মানুষ হতে পারবে।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সংস্কৃতি মানবসভ্যতার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ। জীবনের পরতে পরতে সংস্কৃতির উপাদান জড়িয়ে রয়েছে। বিশ্বায়ন, শিল্পায়ন ও ডিজিটালাইজেশনের কারণে সংস্কৃতির উপাদানগুলো বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিনিময় হয়। সঙ্গত কারণে সংস্কৃতির সঙ্গে উপসংস্কৃতির একটি যোগসাজশ থাকে।

উপসংস্কৃতির ও অপসংস্কৃতির প্রভাব যখন আধিক্য বিস্তার করে তখনই মূলত সাংস্কৃতিক সংকট তৈরি হয়, বিদেশ নির্ভরতা চলে আসে অনেকের মধ্যে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটা সাংস্কৃতিক জাগরণের বড্ড প্রয়োজন। এ জাগরণের মধ্য দিয়ে সকল প্রকার অনিয়ম, অন্যায়, নৈরাজ্য চিরতরে রুখে দেওয়া সম্ভব। এ জাগরণের মধ্য দিয়ে অনাবিষ্কৃত সভ্যতার নিদর্শনগুলো জাতীয় সম্পদে পরিচিতি পাবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ করে পর্যটন খাতে অপার সম্ভাবনার সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, সারা দুনিয়া সাংস্কৃতিক জাগরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। তারা অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছে অনিয়ম, অসঙ্গতি, অপরাধ, নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িকতা থেকে জাতিকে সুরক্ষিত করার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হতে পারে সাংস্কৃতিক জাগরণ।

সাংস্কৃতিক জাগরণের জন্য একটি আলোড়ন জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি শ্রেণি রয়েছে যারা দেশি সংস্কৃতির বিভিন্ন অনুসঙ্গ বয়কট করে বিজাতীয় সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে এবং বিজাতীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী শ্রেণীটি সামগ্রিকভাবে বিজাতীয় সংস্কৃতি আমাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায়। এদের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। তিনি বলেন, সংস্কৃতির উপাদান যত বেশি সমৃদ্ধ, সভ্যতার বিকাশেও ওই জাতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনয়ন সম্ভব। সংস্কৃতি ও সভ্যতার পরিচর্যা মূলত একটি অন্যটিকে প্রভাবিত করতে পারে।

এডভোকেট কে এম জাবিরের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম, এনটিভির পরিচালক নুরুদ্দীন আহমেদ, ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, এডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, সাংবাদিক এরফানুল হক নাহিদ, কামরুল হাসান দর্পণ, সাদিক আল আরমান, নায়ক মারুফ আকিব ও আবির পারভেজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।