শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এর ২৩-তম দিনে নতুন বই এসেছে ৬৭ টি।
আগামীকাল ২৪ শে ফেব্রুয়ারি সোমবার অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এর চব্বিশ-তম দিনে মেলা শুরু হবে বিকেল ৩ টায় এবং চলবে রাত ৯ টা পর্যন্ত।
বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘জন্মশতবর্ষ : অমলেন্দু বিশ্বাস’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সাইদুর রহমান লিপন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন শাহমান মৈশান। সভাপতিত্ব করবেন মিলনকান্তি দে।
আজ রোববার বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘জুলাই অভ্যুত্থানে নারীরা : প্রিভিলেজের দায়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। রেহনুমা আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মির্জা তাসলিমা সুলতানা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শাওলী মাহবুব।
প্রাবন্ধিক বলেন, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে নারীদের আমরা দেখেছি মিছিলের সম্মুখভাবে মুষ্টিবদ্ধ হাত শূন্যে তুলে শ্লোগানে শ্লোগানে সকল পর্যায়ে সামিল হয়েছেন। এই আন্দোলনে এমন কোনো ক্ষেত্র ছিল না যেখানে আমরা নারীদের উপস্থিতি দেখতে পাইনি। কিন্তু আন্দোলন সফল হওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তসহ নানা পর্যায়ে নারীদের অনুপস্থিতি আমাদের মনে প্রশ্নের উদ্রেক করে। সমাজে বিদ্যমান আধিপত্যশীল পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থা যদি নারীর রাজনৈতিক সক্রিয়তাকে অস্বীকার করে এবং দেশ গঠনের কাজে নারীর অংশগ্রহণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে বৈষম্যহীন দেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না।
আলোচক বলেন, ৫২-র ভাষা আন্দোলন, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানসহ বাংলাদেশের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া সকল গণ-অভ্যুত্থান একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য ধারণ করে আছে। সেটি হলো নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। ২৪-এর অভ্যুত্থানে নারীরা অসীম সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। এই আন্দোলন নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করার নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
রেহনুমা আহমেদ বলেন, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে নারীরা প্রচণ্ড সাহসের সঙ্গে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করেই আমরা সমাজে নারী-পুরুষের বৈষম্য, শ্রেণিবৈষম্য ও ধর্মীয় বৈষম্য সমাধানের দিকে অগ্রসর হবো। তাহলেই আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন— লেখক ও গবেষক ড. সুকোমল বড়ুয়া এবং গবেষক তাহমিদাল জামি।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি কাজী আনারকলি, মামুন সারওয়ার, আফসার নিজাম, তাসনীম মাহমুদ, মো. আমিনুল ইসলাম, গোলাম শফিক, নূরুল ইসলাম মনি, মালিহা পারভীন, মতেন্দ্র মানকীন, মিঠুন রাকসাম এবং কবির হোসেন।
অমর একুশে বইমেলায় সাজু আহমেদের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘নৃত্যালেখ্য, ছন্দে রবির আলো’ এবং ফারহানা চৌধুরী বেবী’র পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন বাংলাদেশ একাডেমী অব ফাইন আর্টস লি. (বাফা)-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী মো. মাহাবুবুল ইসলাম, মো. আনোয়ার হোসেন, সরকার আমিরুল ইসলাম, হানাদু খানম, আমজাদ দেওয়ান, মেহেরুন আশরাফ, মো. জাকির হোসেন, মো. স্বপন মিয়া, মো. আসলাম মিয়া, আলমগীর সরকার, রামিসা চৌধুরী, মোস্তাক আহমেদ এবং এম এম উম্মে রুমা ট্রফি। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন ইফতেখার হোসেন সোহেল (কী-বোর্ড), মো. হাসান আলী (বাঁশি), আব্দুস সোবহান (বাংলা ঢোল) এবং শেখ জালাল উদ্দীন (দোতারা)।