বাসস
  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:০৩

ফ্যাসিবাদী শাসক পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে মঞ্জু

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা,  ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী শাসক দিল্লিতে পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তারা যে প্রেক্ষাপটে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে, সে প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে, অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রতি এখনও মানুষের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার তুলনামূলকভাবে ভাল কাজ করার চেষ্টা করছে।  

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় নবনিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধান মাইকেল মিলারের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান। ঢাকাস্থ ইউরোপিয় ইউনিয়ন মিশনে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন, সংস্কার কমিশন, ট্রুথ ও রিকনসিলিয়েশন প্রসেসসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।

প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ইনচার্জ ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানি আবদুল হক এবং ইন্টারন্যাশনাল টিমের অন্যতম সদস্য হাজরা মেহজাবিন। এসময় ইইউ প্রতিনিধি দলের ডেপুটি হেড ড. বার্ণড স্প্যানিয়ারও উপস্থিত ছিলেন।

সভায় মজিবুর রহমান মঞ্জু ইইউ রাষ্ট্রদূতকে আরো বলেন, এবি পার্টি দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনে বিপর্যস্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে কোটি কোটি বেকারদের জন্য কাজের বাজার তৈরি, তথ্যপ্রযুক্তি ও পর্যটন খাতে এফডিআই উৎসাহিত করতে কাজ করবে। 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইইউ'র এমনকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ এবং অবদান রয়েছে যা প্রশংসার দাবিদার উল্লেখ করে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইইউ'র পক্ষ থেকে আরও সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। এবি পার্টি বিশ্বাস করে যে, ২০২৬  সালে এলডিজি গ্রাজুয়েশন বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই তা সংশোধন করা দরকার। এসময় বাংলাদেশে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে সাহায্য করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

সভায় এবি পার্টি নেতারা রাষ্ট্রদূত মিলারকে ২০২০ সালে দলটির আত্মপ্রকাশ, কেন্দ্র ও তৃণমূলে সংগঠন কাঠামো, দেশ জুড়ে দলের নেটওয়ার্ক এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের রাজনীতি বিষয়ে ধারণা দেন। তরুণ প্রজন্মের কাছে সেবা এবং সমস্যা সমাধানের রাজনীতির ধারণা কীভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা তারা তুলে ধরেন। বিগত বছরগুলিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন এবং বিশেষ করে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে এবি পার্টির ভূমিকা সম্পর্কেও বৈঠকে আলোচনা হয়। 

রাষ্ট্রদূত মিলার গণতন্ত্রে উত্তরণ সম্পর্কে এবি পার্টির নেতাদের কাছ থেকে আরও জানতে চান এবং আশ্বাস দেন যে, ইইউ তার সহায়তা অব্যাহত রাখাবে।