বাসস
  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:২৩

স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এবং ফরিদপুর-১ (মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রী ডা. মির্জা নাহিদা হোসেনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বৃহস্পতিবার দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সেগুনবাগিচায় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, মো. আব্দুর রহমান পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭২ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রেখেছেন।

ব্রিফিংকালে আরও জানানো হয়, মো. আব্দুর রহমান নিজ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ১৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ৮৯১ কোটি ৩২ লাখ ৯৪ হাজার ৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে এর রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করত দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ৩৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

এদিকে ডা. মির্জা নাহিদা হোসেন তার স্বামী আব্দুর রহমান কর্তৃক অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮৭ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রেখেছেন। 

এ ছাড়া তিনি নিজ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ১৬টি ব্যাংক হিসাবে ২৬ কোটি ৫৬ লাখ ৬ হাজার ৯৭৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে এর রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করা এবং তার স্বামী আব্দুর রহমানের অসাদুপায়ে উপার্জিত অর্থ দ্বারা স্ত্রীর নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা প্রদান করে তার দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারাসহ দন্ডবিধি ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ৩৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাই ডা. মির্জা নাহিদা হোসেন ও তার স্বামী মো. আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।