শিরোনাম
ঢাকা, ৩ মার্চ, ২০২৫ (বাসস): সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের চাকরিতে যোগদানে বাধা নেই।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে আজ আদেশ দেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ। আজকের এই আদেশের ফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের চাকরিতে যোগদানে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ। ৬ হাজার ৫৩১ জন শিক্ষকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকার, ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন, আইনজীবী ফজলুর রহমান ও মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। আর রিটকারী ১৫৪ জনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মিফতা উদ্দিন চৌধুরী।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ব্যক্তিদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগে উত্তীর্ণদের ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। সে রিটের শুনানিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ রুল যথাযথ ঘোষণা (অ্যাবসোলুট) করে ওই রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের রায়ে আপিল বিভাগের কোটাসংক্রান্ত ২০২৪ সালের সর্বশেষ রায় অনুসরণ করে নতুন ফলাফল প্রকাশ করতে নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের কারণে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম আটকে যায়।