বাসস
  ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৫:২০

নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে ঢাকায় তিন দিনব্যাপী ট্রেড ফেয়ারের আয়োজন করেছে ওয়েব

গুলশান শ্যুটিং ক্লাবে তিন দিনব্যাপী ট্রেড ফেয়ার ফর উইমেন আয়োজন উপলক্ষে সোমবার রাজধানীর ওয়েব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : বাসস

ঢাকা, ৩ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে উইমেন এন্টারপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ওয়েব) আয়োজনে রাজধানীর গুলশান শ্যুটিং ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে তিনদিনব্যাপী ট্রেড ফেয়ার ফর উইমেন।

জুলাই গণ অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা নারীদের সম্মানে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে আগামী ৬ মার্চ শুরু হয়ে এ মেলা শেষ হবে ৮ মার্চ। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি বাহারি হস্তশিল্প, ঐতিহ্যবাহী পোশাক, নকশা করা কাপড়, নান্দনিক গহনা ও নানা ধরনের সৃজনশীল পণ্য প্রদর্শিত-হবে।

আজ রাজধানীর উইমেন এন্টারপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ওয়েব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংগঠনের সভাপতি নাসরিন আউয়াল মিন্টু।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,  উইমেন এন্টারপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ওয়েব) এই মেলার মাধ্যমে তার সিলভার জুবলি উদযাপন করতে যাচ্ছে। গত ২৫ বছরে সংগঠনটি দেশের হাজার হাজার নারী উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। এই মেলা আয়োজনেয় মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের সাফল্য ও সম্ভাবনাকে দেশ ও বিশ্বদরবারে তুলে ধরা হবে। এ আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন হলে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হবে।

নাসরিন আউয়াল মিন্টু বলেন, এবারের মেলার বিশেষ আকর্ষণ হলো জুলাই কর্নার, যা জুলাই গণ অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা নারীদের সম্মানে তৈরি করা হয়েছে। এই কর্নারের মাধ্যমে সেইসব নারীদের সাহসিকতা ও অবদানকে তুলে ধরা হবে। এছাড়া মেলা চলাকালে নারী ও শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের তিনশত শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।

ওয়েব সভাপতি বলেন, এই মেলা নারীদের আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন এবং উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি শুধু নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্যই নয় বরং সমাজে নারীদের অবদানকে আরও গতিশীল করবে। তিনি আরো বলেন, ওয়েব দেশের নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ২০০০ সালে নির্বাচিত কিছু ব্যবসায়ী নারীর দ্বারা নারী উদ্যোক্তা সমিতি (ওয়েব) প্রতিষ্ঠিত হয়। মূল লক্ষ্য ছিল নারী উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সহায়তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যাতে তারা কেবল তাদের পণ্যের মান উন্নত করায় শুধু নয়, যাতে তারা পরিবর্তিত বাজারের চাহিদা পূরণ করতে পারে এরং প্রযুক্তিগত জ্ঞান, নকশা উন্নয়ন ও তাদের পণ্যের জন্য বিপণন সংযোগ তৈরি করতে পারে।

নাসরিন আউয়াল মিন্টু বলেন, বর্তমানে ওয়েব সদস্যদের জন্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, টেক্সটাইল ডিজাইনিং এবং মান উন্নয়ন, নতুন এবং উদ্ভাবনী হতশিল্প উৎপাদন থেকে শুরু করে রপ্তানি আমদানি, ইন্ডেন্টিং, এমনকি পেট্রোল পাম্প পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করে আসছে। ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশের নারীরা বেশিরভাগই কৃষিভিত্তিক বাবসায় যেমন কুটির শিল্প, হস্তশিল্প, সেলাই এবং সূচিকর্ম, বেত এবং বাঁশের আরও বেশি সংখ্যক নারী উৎপাদন লাইনে বুনন হাঁস-মুরগি এবং দুুগ্ধ চাষে নিযুক্ত ছিলেন। তবে এখন পোশাক উৎপাদন , কৃত্রিম গয়না তৈরি, মোটেল ও বেস্তোরায় শুকনো ও তাজা ফুল সরবরাহ, বৃহৎ পরিসরে খাবার পরিবেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ট্রেন্ডি ফ্যাশন হাউস স্থাপন করেছে।