বাসস
  ০৫ মার্চ ২০২৫, ১৭:৫৩

ভূমিসেবা প্রদানে শৈথিল্যের প্রমাণ পেলে ছাড় দেওয়া হবে না: ভূমি সচিব  

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ। ছবি: মন্ত্রণালয়

ঢাকা, ৫ মার্চ, ২০২৫ (বাসস): ভূমি সেবা হয়রানিমুক্ত করতে মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর। সেবা প্রদানে কোনো রকম শৈথিল্যের প্রমাণ পেলে ছাড় দেওয়া হবেনা বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ। 

বুধবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ভূমি সেবা সহায়তা নির্দেশিকা-২০২৫’ শীর্ষক লানিং সেশন উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় তিনি একথা জানান। 

এসময় তিনি বলেন, ভূমিসেবা হয়রানিমুক্ত করতে মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর। সেবা প্রদানে কোনো রকম শৈথিল্যের প্রমান পাওয়া গেলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। জনবান্ধব ভূমি সেবা নিশ্চিতে এবার নতুন সংযোজন ভূমি সেবা সহায়তা নির্দেশিকা-২০২৫’। জনগণ যাতে ভূমিসেবা গ্রহণে কারো প্ররোচনায় না পড়ে সেজন্য এই নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে, যা ভূমিসেবায় নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। সেবা প্রত্যাশীরা এর মাধ্যমে কোনো সেবা কিভাবে নিতে হবে বা কার কাছে কোনো সেবা বিদ্যমান তা জানতে পারবেন।  

সচিব বলেন, দক্ষ, স্বচ্ছ এবং জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং এর অধিনস্ত দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ডিজিটাল ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে ভূমি ব্যবস্থাপনার পুরোনো চিরাচরিত ও সময় সাপেক্ষ সেবাসমূহ। যেসব সেবা পেতে আগে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হতো গ্রাহকদের, এখন তা হাতের মুঠোয়। আদিকালের ভূমি ব্যবস্থপনাকে আধুনিক করতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হওয়ার কথা হয়েছে। 
                                                                                                                                              নির্দেশিকা সম্পর্কে সিনিয়র সচিব বলেন, ডিজিটাল ভূমিসেবাকে টেকসই করা, ভূমিসেবা গ্রহণ সহজীকরণ এবং ভূমিসেবা গ্রহণে সহায়তা/সহযোগিতা প্রদান ও তথ্য সুরক্ষায় বিধিগত কাঠামো তৈরি, নাগরিকবান্ধব সেবা সহায়তাকারী তৈরি, সঠিকভাবে নাগরিকের প্রোফাইল তৈরি ও আবেদন ফরম পূরণ করে দাখিল নিশ্চিত করাসহ ভূমি অফিস সংশ্লিষ্ট অভিযোগ শূন্যে নামিয়ে আনাই অন্যতম মূল লক্ষ্য।

সিনিয়র সচিব আরো বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকারি সেবা গ্রহণে নাগরিক আবেদন প্রক্রিয়ায় ‘এজেন্সি সেবা’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। সার্বিক বিচেনায় উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এবং নাগরিকগণের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনে ‘ভূমিসেবা সহায়তা নির্দেশিকা, ২০২৫’ প্রকাশ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জে ৩টি, রমনা (ধানমন্ডি)কে ১টি ও তেজগাঁও সার্কেলে ১টি ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র পাইলটিংয়ের ভিত্তিতে চালু করা হয়েছে। এরপরে আরো আটটি ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হবে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবরাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।