বাসস
  ০৬ মার্চ ২০২৫, ১৩:৩৬

নোভারটিসের শেয়ার হস্তান্তরে অনিয়মের তদন্ত চেয়ে রিট প্রত্যাহার : নতুন করে দায়ের হবে

ঢাকা, ৬ মাচর্, ২০২৫ (বাসস) : বহুজাতিক কোম্পানি নোভারটিসের শেয়ার কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই না করেই রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে তদন্ত চেয়ে আনা রিটটি প্রত্যাহার (নন-প্রসিকিউশন) করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ রিটটি উত্থাপিত হলে রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন এ রিটে একটি সম্পূরক আবেদন দাখিলে আর্জি পেশ করেন। শুনানির এক পর্যায়ে রিটকারীপক্ষ মামলাটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে প্রত্যাহার চাইলে তা মঞ্জুর করেন উচ্চ আদালত।

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ইকতান্দার হোসাইন হাওলাদার বিষয়টি বাসস’কে নিশ্চিত করেন। 
তিনি বলেন, ‘রিটটি দাখিলের পর বিষয়বস্তু নিয়ে আমরা আরো ডকুমেন্টস সংগ্রহ করি। এখন নতুন করেই রিট দাখিল করবো।’ রাষ্ট্রের অর্থপাচার ঠেকাতে নোভারটিসের শেয়ার হস্তান্তরে তদন্ত নিশ্চিত করা জনগুরুত্বপূর্ণ বলে দাবী করেন এ আইনজীবী।

শিগগিরই নতুন করে রিট দায়ের করা হবে বলে জানান রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ইকতান্দার হোসাইন হাওলাদার।

আদালতে আজ বিষয়টি শুনানির জন্য রিটের পক্ষে মেনশন করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন।

রিটের পক্ষে আরো ছিলেন ব্যারিস্টার নওশাত জমির, এডভোকেট মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার নূর-উস সাদিক, তৌফিকা ইয়াছমিন, ব্যারিস্টার মিজানুর রশিদ ও রিট পিটিশনার এডভোকেট ইকতান্দার হোসাইন হাওলাদার।

নোভারটিসের ২৩০ কোটি টাকার শেয়ার হস্তান্তর প্রতিরোধে গত ৭ জানুয়ারি সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোভারটিস বাংলাদেশ লিমিটেডের ২৩০ কোটি টাকার প্রায় ১০ লাখ শেয়ার রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ প্রেরণ করা হয়।

এডভোকেট ইকতান্দার হোসাইন হাওলাদার বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের মুখে গতবছর ৫ আগস্ট পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বৈদেশিক বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস এই শেয়ার হস্তান্তরে সম্পৃক্ত। এর আগে এই শেয়ার সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপ ক্রয়ের চেষ্টা চালায়। 

এ আইনজীবী বলেন, নোভারটিস বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ শেয়ার (৯ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬ শেয়ার) রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের মাধ্যমে বিক্রির প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। বিষয়টি নিয়ে অর্থপাচার হবে এই সন্দেহ হওয়ায় আমরা সংশ্লিষ্টদের নজরে আনি।  প্রয়োজনীয় সমাধান না পাওয়ায় আমরা উচ্চ আদালতের দারস্থ হই।