ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার। ফাইল ছবি

ঢাকা, ৯ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার ও তার পরিবারের ৪২টি বিও একাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)-এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ  আদেশ দেন।

দুদক-এর জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম বাসস-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, জয়নুল হক সিকদার ও তার পরিবারের সদস্যবৃন্দের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও নামে-বেনামে জনগণের আমানতকৃত অর্থ লুটপাটসহ ঘুসের বিনিময়ে বিধি-বহির্ভূতভাবে ঋণ দেয়া ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। এই অভিযোগ অনুসন্ধানকালে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সাথে সংশ্লিষ্ট সিকদার পরিবার সদস্যগণ জনগণের আমানতকৃত হাজার হাজার কোটি টাকা বিধি-বহির্ভূতভাবে ঋণ প্রদান ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাতের তথ্য পাওয়া যায়। ন্যাশনাল ব্যাংক লি.-এর লিগ্যাল ডিভিশন থেকে ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ছত্রছায়ায় দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে চলমান অনুসন্ধান এবং গত ২৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত ব্যাংকের ৫০৬ তম সভার নির্দেশনা মোতাবেক ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট পত্রের আলোকে সিকদার পরিবার ও সংশ্লিষ্ট সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নামে ন্যাশনাল ব্যাংক লি. এবং এনবিএল সিকিউরিটিজ লি.-এর ধারণকৃত শেয়ারের তালিকা প্রেরণ করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য মতে বর্তমানে সিকদার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য বিদেশে অবস্থান করছেন। বিদেশে থেকে তারা তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট শেয়ারগুলো বিক্রি/স্থানান্তরের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। 

যেহেতু উক্ত বিও একাউন্টের মাধ্যমে সিকদার পরিবারের সদস্য ও তাদের নিকট আত্মীয়দের নামে অর্জিত শেয়ারগুলো বিক্রি/স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। সেহেতু উল্লিখিত বিও একাউন্টগুলো অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা একান্ত আবশ্যক। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।