বাসস
  ০৯ মার্চ ২০২৫, ২০:০০

অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার অভিযোগে ধানমন্ডিতে দুদকের অভিযান

ছবি: Anti-Corruption Commission - Bangladesh ফেসবুক পেইজ

ঢাকা, ৯ মার্চ, ২০২৫ (বাসস): তিতাস গ্যাসের অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ ব্যবহারপূর্বক রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানের শুরুতে দুদক টিম তিতাস গ্যাসের সংশ্লিষ্ট কার্যালয় থেকে নথিপত্র সংগ্রহ করে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তীতে তিতাস গ্যাসের টিমসহ ধানমন্ডির গ্রিন রোডের রসনা বিলাস হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এবং গ্রিন বাংলা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে টিম উভয় হোটেলেই অবৈধ গ্যাস সংযোগের প্রমাণ পায়। রেস্টুরেন্ট ২টি ঝুকিপূর্ণভাবে তিতাস গ্যাসের লাইন টেনে নিজেদের ইচ্ছামতো ব্যবহার করে তিতাস গ্যাস তথা সরকারের প্রতি মাসে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি করছে, এমন প্রমাণ পায় এনফোর্সমেন্ট টিম। অভিযানকালে বৈধ সংযোগ গ্রহণের কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় রেস্টুরেন্ট দুটির অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

এক্ষেত্রে দায়িত্বে অবহেলা বা অসাধু যোগসাজশের জন্য তিতাস গ্যাসের সংশ্লিষ্ট কোন কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত রয়েছেন বা ছিলেন, তা যাচাই করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এছাড়া টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানকালে দুদক টিম সরেজমিনে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস অফিসের পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের (রসায়ন) চেয়ারম্যান এবং বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি যাচাই-বাছাই প্রত্যয়নপত্র সাব-কমিটির আহ্বায়কের বক্তব্যসহ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের বক্তব্য গ্রহণ করে।

অভিযানকালে দেখা যায় যে, ২০২০-২১ অর্থবছরে মাভাবিপ্রবি শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় রসায়ন বিভাগের ৫৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির ১১টি আইটেমের মধ্যে ৪টি আইটেমের স্পেসিফিকেশন ও কান্ট্রি অব অরিজিন সঠিক পাওয়া যায়। কিন্তু বাকি ৭টি আইটেমের স্পেসিফিকেশনে উল্লেখিত কান্ট্রি অব অরিজিন ইউএসএ এর পরিবর্তে চায়না ও কোরিয়া, জাপান এর পরিবর্তে ফিলিপাইন্স, সুইজারল্যান্ডের পরিবর্তে চায়না, ইউকের পরিবর্তে ইতালি এবং ইতালির পরিবর্তে কোরিয়া থেকে পণ্য সরবরাহ নেয়া হয়েছে। কান্ট্রি অব অরিজিন পরিবর্তনের ফলে মূল্যের তারতম্য হয়েছে কি না তা যাচাইয়ের লক্ষ্যে নথিপত্রসমূহ সংগ্রহ করে টিম।

গৃহীত বক্তব্য ও পারিপার্শ্বিক তথ্যাবলির প্রাথমিক পর্যালোচনায় অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়।