বাসস
  ১০ মার্চ ২০২৫, ১৯:৪৪
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৫, ২০:০২

একটি বিশেষ গোষ্ঠী আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে : ইশরাক

আজ গেন্ডারিয়ার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের দয়াগঞ্জ মোড়ে ‘সাদেক হোসেন খোকা ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত রমজানের উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ছবি: বাসস

ঢাকা, ১০ মার্চ, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠী আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। 

তিনি আজ সোমবার বিকালে গেন্ডারিয়ার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের দয়াগঞ্জ মোড়ে ‘সাদেক হোসেন খোকা ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত রমজানের উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 

‘এই বিশেষ গোষ্ঠী মনে করছে দেশে যা ইচ্ছে তাই করা যায়’ এ কথা উল্লেখ করে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘ইদানিং নারী ও শিশুদের হেয়-প্রতিপন্ন করা হচ্ছে এবং তাদের প্রতি অন্যায়-অবিচার বেড়ে চলছে। সম্প্রতি মাগুরায় নরপশুরা এক শিশুর ওপর বিভৎস অত্যাচার করেছে। কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রামে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসব ঘটনায় উদ্বিগ্ন। এসব ঘটনায়  আমাদের বুকে রক্তক্ষরণ হয়।’ 

তিনি বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ‘আমরা ৫ আগস্টের পর নতুন একটি শব্দ শুনতে পাচ্ছি, সেটি হচ্ছে মব কালচার’। 

ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমরা অতীতে যেভাবে জনগণের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি, সেভাবে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। বিশেষ করে নারীরা যাতে নিজেদের দুর্বল না ভাবে, তারা যাতে নিজেদের অনিরাপদ মনে না করে এবং নিজেদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ মনে না করে তা নিশ্চিত করতে হবে। যারা নারীদের জীবন হুঁমকির মুখে ফেলবে তাদের দমন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে।’ 

‘বাংলাদেশ একটি সংকটময় কাল অতিক্রম করছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে কিভাবে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা যায় সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে। 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মকবুল ইসলাম খান টিপু, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল কাদির, মহানগর বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান মাহবুব, মসলে উদ্দিন মুসা, মো. হাকিম, মো. মোড়ল, মোহাম্মদ ফারুক, মোহাম্মদ টিটু, মোহাম্মদ আজিজ, মোহাম্মদ মাহিনসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।