বাসস
  ১৩ মার্চ ২০২৫, ১৮:৩৪

কামরাঙ্গীরচরে যৌথ অভিযানে ৩০ রাউন্ড গুলি, চারটি ককটেল ও অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ১৩

ঢাকা, ১৩ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে ৩০ রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি, চারটি ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনীর একটি টিম।

গ্রেফতারকৃতরা হলো সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন (৬০), মো. সাইফুল (৩২), মো. ফারুক (৩৫), ছিদ্দিক (৪১), রহমত (৪০), খায়রুল (৪২), পারভেজ (৪৫), মো. ইউনুস সরদার (৪০), মো. আল আমিন (৩২), মো. আক্তার হোসেন (৩৪), কবির শেখ (৪৩), বাবুল (৩০) ও বাবু (২৫)।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

গত ১১ ও ১২ মার্চ কামরাঙ্গীরচর এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে চারটি ককটেল, ৩০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, একটি ডেগার ও একটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়।

কামরাঙ্গীরচর থানা সূত্রে জানা যায়, কামরাঙ্গীরচর থানাধীন মুসলিমবাগ এলাকার বিআইডব্লিউটিএ’র ঠোঁটার মাঠ নামক স্থানে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মেলা আয়োজনের জন্য স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ চলছিল। গত ১১ মার্চ বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ টেন্ডার ড্র করলে জনৈক পারভেজ ওরফে ছোট বাবু মাঠটি বরাদ্দ পায়। 

মাঠটি বরাদ্দ পাওয়ার পর ওইদিন রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টায় পারভেজ ওরফে ছোট বাবু ও তার আরো ৩০ থেকে ৪০ সহযোগী মিলে মাঠের ঘাট এলাকায় একত্রিত হয়ে কীভাবে মাঠ পরিচালনা করবে সে বিষয়ে আলোচনা করছিল। 

তখন প্রতিপক্ষ হাজী মনির চেয়ারম্যান গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাত আনুমানিক ১০টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ থেকে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং পারভেজ গ্রুপের ৩ থেকে ৪ জন সদস্যকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। 

পরবর্তীতে চেয়ারম্যান গ্রুপ মুসলিমবাগ এলাকায় ফারুক মেম্বারের বাড়ির সামনে পুনরায় ৮ থেকে ১০ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং তার বসত বাড়ি ভাঙচুর করে। উক্ত ঘটনার ফারুক মেম্বারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।

থানা সূত্রে আরও জানা যায়, মামলাটি রুজুর পর কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর টিম অভিযান পরিচালনা করে হাজী মো. মনির হোসেনের বাড়ির দক্ষিণ পাশে জনৈক নুর ইসলামের বাসার ছাদ থেকে চারটি ককটেল উদ্ধার ও তাদের গ্রেফতার করে। 

উদ্ধারকৃত ককটেলগুলো জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে ডিএমপি’র বোমা ডিসপোজাল টিম কর্তৃক যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিষ্ক্রিয় করা হয়।

পরবর্তীতে ১২ মার্চ ভোর আনুমানিক ৪টা ৫৫ মিনিটে হাজী মো. মনির চেয়ারম্যানের বাসা তল্লাশীকালে তার বাসার ২য় তলায় অফিস কক্ষের আলমারি থেকে পিস্তলের অবৈধ ত্রিশ রাউন্ড তাজা গুলি, একটি ডেগার ও  একটি ধারালো সুইচ গিয়ার চাকু জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মনির হোসেনের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় অস্ত্র আইনেও একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

কামরাঙ্গীচর থানায় রুজুকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।