বাসস
  ১৫ মার্চ ২০২৫, ১৪:৩৬
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৫, ১৫:০২

২০ লাখ টাকার জাল নোট ও জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের

২০ লাখ টাকার জাল নোট ও জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের। ছবি: ডিএমপি

ঢাকা, ১৫ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল নোট ও জাল নোট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার এবং তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, সুমন (৩৮), সুলতানা (২৮) ও হানিফ গাজী (৪৮)।

এসময় তাদের হেফাজত থেকে ২০ লাখ টাকার জাল নোট, আংশিক প্রিন্ট করা এক হাজার টাকা মূল্যমানের নয় লাখ ৭৬ হাজার টাকার জাল নোট ও জাল নোট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও নারায়ণগঞ্জে একের পর এক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

কামরাঙ্গীরচর থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদবর বাজারের বুড়িগঙ্গা গণপাঠাগার সমাজকল্যাণ সংস্থার সামনে বেড়িবাঁধে চেকপোস্ট পরিচালনা করে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে জাল টাকার ব্যবসায়ী সুমন, সুলতানা ও হানিফ গাজীকে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় তাদের দেহ তল্লাশি করে ১০০০ ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের মোট চার লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেল আনুমানিক ৫টা ৪৫ মিনিটে অপর এক অভিযানে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন কদমতলীর গ্যাস লাইন নামক এলাকায় গ্রেফতারকৃত সুমনের ভাড়া বাসা থেকে ১০০০ ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের ১৬ লাখ টাকার জাল নোট, এক পাশে প্রিন্ট করা ১০০০ টাকা মূল্যমানের ৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকার জাল নোট (আংশিক প্রিন্ট করা), একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, একটি কালার প্রিন্টার, জাল নোট তৈরির ১০টি ডাইস, তিনটি আাঠার কৌটা, জাল নোট তৈরিতে ব্যবহৃত দুটি ফয়েল পেপার রোল, কালার প্রিন্টারের পাঁচটি কালির কৌটা, একটি রাবার কাটার, কাগজ ছিদ্র করার দুটি ভাইস ও জাল নোট তৈরির কাজে ব্যবহৃত এক বস্তা সাদা কাগজ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত তিনজনের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে জাল নোট তৈরি ও বিক্রয় করার অপরাধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে আদালত প্রত্যেকের দুই দিন করে পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।