শিরোনাম
ঢাকা, ১৫ মার্চ ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘বিগত শেখ হাসিনার সরকার ১৫ বছরে দেশকে ধ্বংস করে গেছে। সেটা মেরামতের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের। এ কারণেই অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।’
আজ শনিবার রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে এক ইফতার মাহফিল পূর্ব বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের সম্মানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
বক্তব্যের শুরুতেই বিএনপির চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান খন্দকার মোশাররফ।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা যখন শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা ঠিক সেই সময় আমরা দেখছি, যারা পতিত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার তারা বিদেশে গিয়ে নানারকম ষড়যন্ত্র করছে। দেশে নানা রকমের অশান্তি সৃষ্টি করছে। যেটা খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়। তারা পতিত সরকার এসব চেষ্টা করবে।’
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চব্বিশের গণ-আন্দোলেনর ফসল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারা গত ১৬ বছর ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত জনগণকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেবে বলে আশ্বস্ত করেছিল। অথচ সেই ভোট পিছিয়ে দিতে নানা কথা বলা হচ্ছে।
অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রীক যে সংস্কারগুলো আছে তা দ্রুত করে অবিলম্বে নির্বাচনের দিন তারিখ ঠিক করে ঘোষণা করা হোক। রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলে, জনগণ নির্বাচন মুখী হয়ে যাবে। তখন পতিত সরকার কোনো ষড়যন্ত্র করলে তা জনগণই মোকাবেলা করবে। সেই সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সংস্কার দীর্ঘ মেয়াদী বা স্বল্পমেয়াদের কোনো বিষয় নয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আজ যে সংস্কার হচ্ছে সেটি পরবর্তীতে আবার সংস্কার হতে পারে। যেজন্য সংস্কার দীর্ঘমেয়াদের কথা বলে যারা, তারা নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপণ করছেন সেটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মানুষের এবং গণতন্ত্রকামী দলগুলোর যে সমর্থন রয়েছে সেটি সরকারকেই যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে ভিন্ন রকম কথা বলছেন। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে। জনমনে এ বিষয়ে এক ধরণের বিভ্রান্তিও তৈরি হচ্ছে।
যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের পরিচালনায় আরো বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে যুবদলের বিল্লাল হোসেন তারেক, কামরুজ্জামান জুয়েল, নুরুল ইসলাম সোহেল, মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইয়াছিন আলী, ফখরুল ইসলাম রবিন, নাজমুল হাসান, ছাত্রদলের আমানউল্লাহ আমানসহ ঢাকা মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেন।