বাসস
  ২০ মার্চ ২০২৫, ১৬:৫০

স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক এমপি রনজিতের ৭৯ বিঘা জমি জব্দ

যশোর-৪ এর সাবেক সংসদ সদস্য রনজিত কুমার রায়। ফাইল ছবি

ঢাকা, ২০ মার্চ, ২০২৫ (বাসস): যশোর-৪ এর সাবেক সংসদ সদস্য রনজিত কুমার রায়, তার স্ত্রী নিয়তি রানী রায়, ছেলে রাজীব কুমার রায় ও সজিব কুমার রায়ের নামে থাকা ৪টি ফ্ল্যাট, ২টি বাড়ি, ৬০টি দোকানসহ ৭৯ দশমিক ৬২ বিঘা জমি জব্দ ও ১৩৭টি ব্যাংক হিসাব থাকা ২ কোটি ৭৮ লাখ ৭৩ হাজার ৬৬৭ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

দুদক-এর  আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ  আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম তথ্যটি জানিয়েছেন।

তাদের স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে- যশোর সদরে ১৩৫৬ বর্গফুটের ২টি ফ্ল্যাট ও যশোরের নিউমার্কেটের পাশে ১২২৪ বর্গফুটের আরও ২টি ফ্ল্যাট, চার ও তিন তলার দুইটি বাড়ি। জব্দকৃত সম্পদের মধ্যে যশোরের অভয়নগর উপজেলায় রয়েছে ৬ হাজার ৬ বর্গফুটের নির্মাণাধীন ৬০টি দোকান ও ৭৯ দশমিক ৬২ বিঘা জমি। 

এসব জমির মধ্যে রনজিত কুমারের রয়েছে ৩১ দশমিক ৪৮ বিঘা, তার স্ত্রীর ১ দশমিক ৭৫ বিঘা ও তাদের সন্তানদের রয়েছে ৪৬ দশমিক ৩৯ বিঘা জমি। এসব জমির মোট দলিল মূল্য ১৭ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৫০ টাকা।

অস্থাবর সম্পদের মধ্যে, রণজিত কুমারের ২৫ হিসাবে আছে ৭১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৮ টাকা, তার স্ত্রীর ২১ হিসাবে আছে ৬৫ লাখ ৮৫ হাজার ০৮৬ টাকা, তাদের সন্তান রাজীব কুমারের ৪৪ একাউন্টে আছে ৬৮ লাখ ৭ হাজার ৬০২ টাকা, তার নিয়তি ট্রেডে আছে ১৪ হাজার ৩০১ টাকা, রাজীবের স্ত্রী রিশিতা সাহার ২০টি হিসাবে আছে ৪০ লাখ ৭ হাজার ৯৮৪ টাকা, রণজিতের ছেলে সজীব কুমারের ১২ হিসাবে আছে ৫ লাখ ৬০ হাজার ৬৪ টাকা ও সজীবের স্ত্রী অনিন্দিতা মালাকার পিউর একাউন্টে আছে ২৭ লাখ ৫৭ হাজার ২৫২ টাকা।

আবেদনে বলা হয়েছে, রনজিত কুমার রায়, তার স্ত্রী নিয়তি রানী রায়, ছেলে রাজীব কুমার রায় ও সজিব কুমার রায়ের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত ধারায় অপরাধ করাসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানের জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। 

অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক  ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করার প্রয়োজন। তাদের স্থাবর সম্পদসমূহ ক্রোক করা না হলে, বিচারকালে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এতে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।