শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : সৌদি আরবের পতাকাবাহী বিমান সংস্থা সৌদিয়া বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য ফ্লাইট সংযোগ জোরদার করেছে।
শতাধিক নগরীতে দৈনিক ৫৩০ টিরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনাকারী সৌদিয়া এয়ারলাইন্স বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও ভ্রমণকারীদের জন্য অনেক গন্তব্যে যাতায়াতের সুযোগ করে দিচ্ছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, প্যারিস, ফ্রাঙ্কফুর্ট ও টরন্টো সহ প্রধান প্রধান যোগযোগ কেন্দ্রগুলোতে জেদ্দা ও রিয়াদে ট্রানজিট পয়েন্টের মাধ্যমে সহজেই যাওয়া যায়।
ডেল্টা ও ইজিয়ান এর মতো আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোর সাথে সম্প্রতি অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার মাধ্যমে সৌদিয়া তাদের নেটওয়ার্ক আরও প্রসারিত করেছে। ফলে, ভ্রমণকারীরা অনেকগুলো রুট ও বিশ্বব্যাপী সহজ সংযোগ পাচ্ছে।
বাংলাদেশি যাত্রীদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করতে, সৌদিয়া ৯৬ ঘন্টার স্টপওভার ভিসা প্রোগ্রাম চালু করেছে, যা ভ্রমণকারীদের তাদের গন্তব্যে যাওয়ার সময় সৌদি আরবের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেখতে উৎসাহিত করবে।
যাত্রীদের আরামদায়ক সুবিধা প্রদানের জন্য, সৌদিয়ার বিজনেস ক্লাসে প্রশস্ত আসন, শুয়ে ভ্রমণের বিছানা, ১৭ ইঞ্চি এইচডি স্ক্রিন এবং বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই সুবিধা প্রদান করা হয়। সুবিধা আরও উন্নত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ২০২৬ সালে নতুন এয়ারবাসে আপগ্রেডেড স্যুট চালু করা হবে।
এ ছাড়াও ২০২৫ সালের শেষের দিকে, সৌদিয়া তাদের এয়ারবাস এ৩৩০ এবং বোয়িং ৭৭৭ বহরে বিজনেস ক্লাস স্যুট যুক্ত করে নতুন করে সাজিয়ে তুলবে, যা সেবার মান এবং আয়েশী ব্যবস্থা আরো উন্নত করবে।
নির্ভরযোগ্যতা সৌদিয়ার পরিষেবার আরেকটি বৈশিষ্ট্য। ২০২৪ সালে সৌদিয়া সময়মতো যাত্রা শুরুর (৮৮.৮২%) ক্ষেত্রে প্রথম স্থান এবং আগমনের (৮৬.৩৫%) ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে, যা সময়ানুবর্তিতা ও দক্ষতার প্রতিফলন।
বাংলাদেশী ভ্রমণকারীদের পছন্দ অনুযায়ী সৌদিয়া খাঁটি হালাল খাবার পরিবেশন করে, যার মধ্যে কাবসা ও জারিশের মতো সৌদি খাবার রয়েছে।
যাত্রীরা ঐতিহ্যবাহী সৌদি কফি সহ হালাল খাবার উপভোগ করেন। এছাড়াও, বিজনেস ক্লাসের যাত্রীরা শেফদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত রুচি অনুযায়ী রেস্তোরাঁর মানসম্মত খাবারের সুবিধা পাবেন।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হওয়ার সাথে সাথে, সৌদিয়া উন্নত পরিষেবা, আরাম ও নির্ভরযোগ্যতার মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান যাত্রী চাহিদা পূরণে প্রস্তুত, যা বাংলাদেশী ভ্রমণকারীদের কাছে একটি পছন্দের বিমান সংস্থা হিসেবে সৌদিয়া পরিবহনের খ্যাতি আরও সুদৃঢ় করবে।