বাসস
  ২৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৪

সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম। ফাইল ছবি

দিনাজপুর, ২৮ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দিনাজপুর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মতিউর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী দিনাজপুর শহরে মান্সিপাড়া মহল্লার আব্দুস সালাম তালুকদারের পুত্র ওলিউর রহমান নয়ন বাদী হয়ে সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে একটি মামলাটি দায়ের করেছেন।

মামলায় অপর উল্লেখযোগ্য আসামীগণ হলেন- স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা সভাপতি আবু ইবনে রজবী, আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা রশিদুল ইসলাম, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী সমিতির সভাপতি মাসুদ আলম, ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা ও ঠিকাদার শাহ আলম, ধীমান সরকার, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মুক্তি বাবু ও যুব মহিলা লীগ নেত্রী সৈয়দা সেলিনা মমতাজসহ অজ্ঞতা নামা ২০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

বাদী তার মামলায় অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালে জানুয়ারী মাসে প্রথম সপ্তাহে তিনি শহরে মুন্সিপাড়া লুৎফুন্নেসা টাওয়ারে  তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় রিজ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৎকালীন প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানকে দিয়ে উদ্বোধন করেছিলেন।

এই উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে আসামীরা তার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি বলেন ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে আসামীরা দলবদ্ধ হয়ে তার প্রতিষ্ঠানে এসে হুমকি দেয় এবং তারা বলেন, আসামী ইকবালুর রহিমকে বাদ দিয়ে অন্য কোন নেতাকে দিয়ে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করায় তার কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারী দুপুরে বাদী ওলিউলুর রহমান নয়নকে আসামীদের দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় তাকে অপহরণ করে আসামী আবু ইবনে রজবীর সদর উপজেলার বাঙ্গিবেচা ঘাটের পাশে তার রিসোর্টে নিয়ে গিয়ে আটক করে রাখে। পরে আসামীদের নির্যাতনে বাধ্য হয়ে বাদী ওই দিন বিকেলে তার স্কুলের কর্মচারী সাক্ষী মিজানুর রহমান ও মিজানুর রহমান জুয়েলের মাধ্যমে আসামী রশিদুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান জিয়া ও ধীমান সরকারকে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা হিসেবে পরিশোধ করেছে।

আসামীরা চাঁদা পেয়ে অবশিষ্ট ৭০ লক্ষ টাকা স্বল্প সময়ের দেয়ার অঙ্গীকারে ওলিউরকে ছেড়ে দেয়।

ওলিউর তার মামলায় অভিযোগ করেন, আসামী ইকবালুর রহিমের প্রভাবে পরবর্তীতে আসামী সৈয়দা সেলিনাল মমতাজ বাদী হয়ে তার কন্যাকে ভিকটিম সাজিয়ে অলিউর রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা আদায় করেন। একটি নিয়মিত মামলা এবং অপরটি নারী নির্যাতন আইনে। এই মামলা দু'টি অনেক অর্থের বিনিময়ে আপোসে নিস্পত্তি করা হয়েছে। এরপর অলিউর রহমান নয়ন নিরাপত্তার অভাবে দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্য চলে যান। বর্তমানে দেশে মামলা দায়ের ও বিচারের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি দেশে ফিরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এই মামলাটি আসামীদের বিরুদ্ধে দায়ের করেন।