শিরোনাম
ঢাকা, ৮ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত মার্চ মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৫২ কোটি ৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে।
বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ৭ কেজি ৯৫৮ গ্রাম স্বর্ণ, ৭৮০ গ্রাম রুপা, ২৫ হাজার ১৭৩টি শাড়ি, ১০ হাজার ৭০১টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ২২ হাজার ২৮০টি তৈরি পোশাক, ৩৩ হাজার ৮৮৯ মিটার থান কাপড়, ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫৭টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ১৭৬২টি ইমিটেশন গহনা, ৪৭ লাখ ৫২ হাজার ১৯৬টি আতশবাজি, ৬ হাজার ৯২৯ ঘনফুট কাঠ, ৩ হাজার ২৩৬ কেজি চা পাতা, ২৫ হাজার ৬৫৬ কেজি সুপারি, ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮৪ কেজি চিনি, ১০ হাজার ৬৯০ কেজি সার, ৯৭ লিটার অকটেন, ২৫ হাজার ৯০০ কেজি কয়লা, ২১২ কেজি সুতা/কারেন্ট জাল, ৫২২টি মোবাইল, ৭৪৯টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৮৬ হাজার ৭৮১টি চশমা, ১২ হাজার ৭৩১ কেজি বিভিন্ন প্রকার ফল, ৩ হাজার ৬৪১ কেজি ভোজ্য তেল, ৯৫১ কেজি পিঁয়াজ ও রসুন, ১৭ হাজার ২৩৫ কেজি জিরা, ৬ হাজার ৩২৫ কেজি কিশমিশ, ১ লাখ ৩ হাজার ৯৫৩ পিস চকোলেট, ৪টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১০টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, ৭টি পিকআপ, ২টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৪টি ট্রলি, ১৭টি নৌকা, ২০টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৬২টি মোটরসাইকেল এবং ৩৫টি বাইসাইকেল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ৩টি ওয়ান শুটারগান, ৪৬ রাউন্ড গুলি ও ৩৩ হাজার ১০০ রাউন্ড সীসার গুলি।
এছাড়াও গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ৭ লাখ ৪৭ হাজার ১৬১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ কেজি ৫৮৫ গ্রাম হেরোইন, ৪ কেজি ১০৫ গ্রাম কোকেন, ১৬ হাজার ২৪২ বোতল ফেনসিডিল, ৯ হাজার ৩৭৭ বোতল বিদেশি মদ, ৪৪ লিটার বাংলা মদ, ১ হাজার ২৩৫ বোতল ক্যান বিয়ার, ২ হাজার ৬১১ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৩৯ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ১৮ লাখ ৫ হাজার ১৩৪টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৫ হাজার ৩৪০ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৫৫ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ২৭ লাখ ৩৭ হাজার ৬৯ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ও ট্যাবলেট, ১২ বোতল এলএসডি এবং ৮৪ হাজার ২০০ এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট।
বিজিবি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩৪ জন চোরাচালানি এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৩৩৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৬৪৭ জন মিয়ানমারের নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।