বাসস
  ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২০:০৬

মুসলিম নেতারা আজ ইসরায়েলের হাতে জিম্মি : শিবির সেক্রেটারি

মঙ্গলবার গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঢাকা মহানগর ছাত্রশিবিরের মিছিল। ছবি : বাসস

ঢাকা, ৮ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, ‘পৃথিবীতে দুই শ’ কোটি মুসলমান থাকলেও আজ গাজার মুসলিমরা অভিভাবকশূন্য। ফিলিস্তিনের নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার শিকার হচ্ছে। মুসলিম দেশগুলো দ্বারা বেষ্টিত দখলদার ইসরায়েল মুসলমানদের পবিত্র ভূমি দখল করছে, অথচ আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামতপ্রাপ্ত শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলো নির্বিকার। পরিস্থিতি এমন যে, মুসলিম নেতারা যেন ইসরায়েলের হাতে জিম্মি।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঢাকা মহানগর ছাত্রশিবিরের আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল উত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বিকেল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে মৎস্য ভবন, জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে গিয়ে শেষ হয়।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দামের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েমসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

এ ছাড়া ঢাকাস্থ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি, সেক্রেটারিসহ নেতাকর্মী মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুসলমানদের পবিত্রতম ভূমি, মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদুল আকসা ধন্য ফিলিস্তিনকে আমাদের চোখের সামনে মুছে ফেলা হচ্ছে। প্রতিমুহূর্তে বোমার আঘাতে মানুষের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং এক লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদের মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। অথচ মানবাধিকার সংগঠন, মুসলিম কমিউনিটি ও মুসলিম স্বার্থ রক্ষায় গঠিত সংস্থাগুলো নিশ্চুপ থেকে ওই গণহত্যা প্রত্যক্ষ করছে, কোনো কার্যকর পদক্ষেপ আমরা লক্ষ্য করছি না।

তারা আরও বলেন, অভিশপ্ত ইহুদি জাতির পতন সময়ের ব্যাপার। সারা বিশ্বের মুসলমানরা আজ জেগে উঠেছে। আমরা বাংলাদেশ থেকে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, ফিলিস্তিনে আর কোনো বোমা পড়লে তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। ফিলিস্তিন মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রশিবির ঘরে ফিরে যাবে না। সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের সঙ্গে আমরা রাজপথে অবস্থান করব, ইনশাআল্লাহ।

চলমান এই আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করেন নূরুল ইসলাম।