শিরোনাম
ঢাকা, ৮ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : সরকারি ক্রয় আইন শিগগিরই প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে সময়োপযোগী করতে যাচ্ছে সরকার। ইলেকট্রনিক গর্ভনমেন্ট প্রকিউরমেন্ট বা ই-জিপি ব্যবস্থাকে সরকার আরও সময়োপযোগী এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব করে তোলাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার মৌলভীবাজার জেলার ডিসি কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিপিপিএ আয়োজিত কর্মশালায় এ কথা জানান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) বাংলাদেশ সরকারি ক্রয় কর্তৃপক্ষ (বিপিপিএ) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মির্জা আশফাকুর রহমান। ‘বিপিপিএ কার্যাবলী এবং ই-জিপি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বিনিময়’ বিষয়ক এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসরাইল হোসেন কর্মশালায় সভাপতিত্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বুলবুল আহমেদ, বিসিসিপির ডেপুটি সিইও এবং প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. জিনাত সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
বিপিপিএ’র উদ্দেশ্য সম্পর্কে মির্জা আশফাকুর রহমান বলেন, বিপিপিএ বর্তমান সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সরকারি ক্রয়কে আরও ব্যবহারকারী-বান্ধব করে তোলার জন্য তৃণমূল স্তরের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের কাছ থেকে সুপারিশ গ্রহণ করতে কর্মশালা আয়োজন করছে।
তবে, তিনি ই-জিপি সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করার জন্য ব্যবস্থায় সংস্কার আনার বিষয়ে আরও সুপারিশ করার জন্য স্টেকহোল্ডারদের প্রতি আহ্বান জানান।
বর্তমান অনুকূল পরিবেশের কথা উল্লেখ করে আশফাকুর রহমান বলেন, সরকার ই-জিপি ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে অত্যন্ত আন্তরিক এবং তৎপর। আমরা এমন একটি সরকারি ক্রয় ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই যা আরও ব্যবহারকারী-বান্ধব হবে এবং তাই আমাদের অগ্রাধিকার এখনই ইতিবাচক পরিবর্তন আনার।
বর্তমানে শুধুমাত্র প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ রয়েছে, কিন্তু সমাপ্তির পরে এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও তহবিল বরাদ্দ করা হয় না উল্লেখ করে তিনি সংশ্লিষ্টদের, বিশেষ করে ক্রয়কারী সংস্থাগুলোকে যেকোনো কাজের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তহবিল চাওয়ার পরামর্শ দেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের জবাবে আশফাকুর রহমান বলেন, কাজের মান নিশ্চিত করার জন্য পারফমেন্স গ্যারান্টি বাড়ানো যেতে পারে কিনা তা বিপিপিএ বিবেচনা করবে, তবে এটি দরপত্রদাতাদের উপর বোঝা হতে পাওে, কারণ এই তহবিলটি দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকে।
সরকারি ক্রয় আইনের আসন্ন সংশোধনীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আর কাজ বিক্রি করার কোনও সুযোগ থাকবে না। কারণ আইন ও বিধি থেকে ১০ শতাংশের যে মূল্যসীমা তার বিধান বাদ দেওয়া হচ্ছে।
জনগণকে কাজের ক্ষেত্রে কোন ফাঁকফোকর দেখলে তা অবহিত করার এবং প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন,সময় এখন পরিবর্তিত হয়েছে, তাই দুর্বল বোধ করার কোনও কারণ নেই।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট ৭ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ৪০ শতাংশ সরকারি ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারি ক্রয়ের ৬৫ শতাংশ ই-জিপির মাধ্যমে করা হয়।
এত বিশাল বাজেট ই-জিপির মাধ্যমে ব্যয় করা হয় তা বিবেচনা করে তিনি সংশ্লিষ্ট সবার জন্য ই-জিপিতে প্রশিক্ষণ নেয়ার উপর গুরুত্বোরোপ করেন।