শিরোনাম
ঢাকা, ৯ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট -২০২৫’ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিনিয়োগকারীদের সামনে টেকসই অর্থনীতির ধারণা উপস্থাপন করেছে।
বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এমন একটি জাতির স্বপ্ন দেখে যেখানে সব ধর্ম, জাতিগোষ্ঠী ও পটভূমির মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে। বাংলাদেশের বৈচিত্র্যকে শক্তি হিসেবে গণ্য করে দলটি সব সম্প্রদায়ের জন্য সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার ও জাতীয় অগ্রগতির প্রতি অঙ্গীকারের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়তে চায়; যেখানে শান্তি ও ন্যায়বিচার বিরাজ করবে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়তে চায়; যা শান্তিপূর্ণ ইসলামী মূল্যবোধ এবং পশ্চিমা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর ভালো দৃষ্টান্ত দ্বারা অনুপ্রাণিত।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, দলটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে; যাতে সব নাগরিক, তাদের পটভূমি যাই হোক না কেন উন্নতির সুযোগ পায়।
তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সকল ধরনের চরমপন্থার বিরোধিতা করে এবং সংঘাত নয়, সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নে বিশ্বাস করে। দলটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করে শান্তি, উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
নারীর অগ্রগতিকে অপরিহার্য হিসেবে উল্লেখ করে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, নারীর ক্ষমতায়নকে দলটি তার আদর্শিক কাঠামোর সঙ্গে সমন্বয় করেছে। এতে ঐতিহ্যগত লিঙ্গভূমিকার ভারসাম্য বজায় রেখে সামাজিক, শিক্ষা ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা হয়। দলের একটি সক্রিয় নারী শাখা রয়েছে, যারা শিক্ষা, সমাজসেবা ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত।
তিনি জানান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নারী সদস্যরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং দলের কাঠামোর মধ্যে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, নারী প্রার্থীরা সংসদের সংরক্ষিত আসনগুলোতে নির্বাচন করেছেন। নারী শাখা রাজনৈতিক আন্দোলন, ত্রাণ কার্যক্রম, সমাজসেবা এবং পারিবারিক মূল্যবোধ ও নারী শিক্ষার প্রসারে কাজ করছে। তারা নারী নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছে, বিক্ষোভ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, প্রচারণা, কমিউনিটি মিটিং ও সামাজিক জমায়েতের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকাগুলোতে নারী ভোটারদের সংগঠিত করতে জামায়াতে ইসলামীর নারী সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি বলেন, ‘২০০৭-২০০৮ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে ৩৩ শতাংশ নারী অন্তর্ভুক্তি বাধ্যবাধকতা ছিল। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই শর্ত পূরণ করার মাধ্যমে নারী অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে দলের প্রতিশ্রুতি সর্বমহলে স্বীকৃতি পায়।