শিরোনাম
ঢাকা, ১১ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : ওয়ান প্রোপার্টিজ লিমিটেড, প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজারসহ তিনজনকে বিএনপি নেতা খন্দকার আবু আশফাক লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন।
খন্দকার আবু আশফাকের মেডিকেল সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠান প্রেসক্রিপশন পয়েন্টের হয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুস সামাদ ওয়ান প্রপার্টিজ লিমিটেডসহ তিনজনকে গতকাল এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়, বনানী ই-ব্লকের ১২ নম্বর রোডের ১০৫ নম্বর প্লটের পাঁচ কাঠা জমির ওপর গড়ে ওঠা ছয়তলা বাড়িটিতে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট লিমিটেড। যার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ব্যবহার করে অনিয়মের মাধ্যমে প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট সিলগালা করে দেওয়া হয়। ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রয়োজনীয় অনুমোদন সাপেক্ষে প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট পুনরায় চালু করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, প্রয়োজনীয় ভাড়া চুক্তির আলোকে প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট বনানীর ১২ নম্বর রোডের বাড়িটিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ওই বাড়ি ও ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে মোকদ্দমা চলমান। বিষয়টি নিয়ে মামলা চলমান থাকাবস্থায় প্রেসক্রিপশন পয়েন্টের কার্যক্রম পরিচালনায় কোনরূপ বাঁধা প্রদানে বিরত থাকতে নোটিশ গ্রহিতাদের প্রতি অনুরোধ করা হয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রেসক্রিপশন পয়েন্টের মালিক খন্দকার আবু আশফাক বাসসকে বলেন, ‘আমরা ভাড়া নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি শুরুর পর সুনামের সঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছি। ২০২৩ সালে হঠাৎ জানতে পারি বিগত আওয়ামী সরকারের দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের ছেলে রাহাত মালেক এবং তার বন্ধু ইমরান মুস্তাফিজ জমিটি কিনে নিয়েছেন। তারাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়। এসময় প্রতিষ্ঠানটির বহু কর্মী বেকার হয়ে পড়েন।’
তিনি আরও বলেন, এ বাড়ি বিক্রি ও ভাড়া চুক্তি নিয়ে চারটি মামলা চলমান। গত ২৮ আগস্ট প্রেসক্রিপশন পয়েন্টকে পুনরায় পরিচালনার অনুমতি দেয় সরকার। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির অনেক যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। তিনি বলেন, এখন আবার শুনছি ওয়ান প্রোপার্টিজ লিমিটেড জমিটি কিনে নিয়েছেন। ওয়ান প্রোপার্টিজ লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সুরাহা না করেই প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট উচ্ছেদে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আনা মামলায় আগামী ৫ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। তবে শুনানির আগেই আমাদের সরিয়ে দিতে ক্ষমতার অপব্যবহার চলছে বলে দাবি করেন খন্দকার আবু আশফাক। একইসঙ্গে বাড়ি ভাড়া আইনেও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি বলে জানান তিনি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যে কোনরূপ বেআইনি কার্যক্রম পরিহারে লিগ্যাল নোটিশে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বনানীর ওই ভবনটিতে দীর্ঘ দেড়যুগ ধরে সুনামের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট। ২০২৩ সালে আকস্মিকভাবে চালানো অভিযানের নামে তড়িঘড়ি করে সন্ত্রাসী কায়দায় প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট বন্ধ করে সিলগালা করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ২৮ আগস্ট প্রেসক্রিপশন পয়েন্টকে পুনরায় পরিচালনার অনুমতি দেয় সরকার। বনানীতে স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার সুনাম রয়েছে প্রেসক্রিপশন পয়েন্টের।