শিরোনাম
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তাদের নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ডিজিটাল ভেরিফিকেশন এন্ড ফ্যাক্ট চেকিং প্রশিক্ষণ বুধবার শেষ হয়েছে।
আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে প্রশিক্ষণের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি বলেছেন, সামাজিক মাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রচুর অপতথ্য ছড়াচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাইবার যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছে। এখন ভুল তথ্য, মিথ্যা তথ্য এবং সাইবার যুদ্ধ অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেছেন, বর্তমানে সাইবার স্পেসে যে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাবে। এই ব্যাপকতা প্রতিরোধে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে মিথ্যা তথ্য দেশের সামাজিক সৌহার্দ্য নষ্ট করে। তাই এই বিষয়টিকে ছোট করে দেখা বা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। ভুল তথ্য এবং মিথ্যা তথ্য চেক করতে আমাদের লাগবে ফ্যাক্টস এন্ড ফিগার। এই ফ্যাক্টস এন্ড ফিগার অথেনটিক কি-না তা নিশ্চিত করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সমাপনী বক্তব্যে সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, বর্তমান ডিজিটাল যুগে ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যা সরকারের কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। জনসংযোগ কর্মকর্তারা যদি তথ্য যাচাইয়ের দক্ষতা অর্জন করেন তাহলে তারা সরকারের প্রকৃত বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছতে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন।
প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত উপপ্রধান তথ্য অফিসার এ. কে. এম. কামরুল আহছান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপ্রধান তথ্য অফিসার) মো. ফয়সল হাসান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপ্রধান তথ্য অফিসার) দীপংকর বর, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (সি.তথ্য অফিসার ) মো. আলমগীর হোসেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল মালেক প্রমুখ।
প্রশিক্ষণে রিসোর্স পার্সন হিসেবে ছিলেন কদরুদ্দিন শিশির, যিনি বাংলাদেশের লিডিং ফ্যাক্টচেকার ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। এরআগে তিনি এএফপি’র ফ্যাক্টচেক বাংলার সাবেক এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও ছিলেন মিনহাজ আমান, যিনি একজন ডিসইনফরমেশন রিসার্চার এবং ট্রেইনার। লিড রিসার্চার হিসাবে কাজ করছেন ডিসমিস ল্যাব নামে একটি মিডিয়া রিসার্চ সংস্থা। প্রশিক্ষণটি ফ্যাসিলেট করেছে মারুফ আহমেদ, যিনি একজন ইনফরমেশন ইন্টেগ্রিটি রিসার্চার।
উল্লেখ্য, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এর নির্দেশনায় প্রথম বারের মতো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তাদের নিয়ে এ ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।