বাসস
  ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৪৪
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:২২

স্ত্রী-কন্যাসহ রাজশাহীর সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পরিবারের সদস্য ও শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটন। ছবি : ফেসবুক

ঢাকা, ২২ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটন, তার স্ত্রী শাহীন আকতার ও মেয়ে আনিকা ফারিহা জামানের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ জানান, খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে মেয়র থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করার মাধ্যমে অবৈধভাবে ১০ কোটি ৩৫ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে এবং তার নামে ১২টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ৫২ কোটি ২৩ লাখ ১৭ হাজার ২৫১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে ওই টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন। এই অপরাধে এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে খায়রুজ্জামান লিটনের স্ত্রী শাহীন আকতার তার স্বামী দায়িত্ব পালনকালে স্বামীর সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১১ কোটি ৪১ লাখ ৬২ হাজার ২৪৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ তার নামে ১৩টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৭৬ কোটি ২৯ লাখ ৭৮ হাজার ৮০২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে ওই টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন।

তাই শাহীন আকতার ও তার স্বামী এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অফর একটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ ছাড়া খায়রুজ্জামান লিটনের মেয়ে আনিকা ফারিহা জামান তার পিতার দায়িত্ব পালনকালে পিতার সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৬ কোটি ৮০ লাখ ৭৯ হাজার ৭৮১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ তার নামে ৫টি ব্যাংক হিসাবে ২ কোটি ৪৪, লাখ ৮১ হাজার ৫৭৮ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করে ওই টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন।

তাই আনিকা ফারিহা জামান ও তার পিতা এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় আরো একটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।