বাসস
  ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:০১

সোনিয়া মুন্নি ‘ইয়াং ডিপ্লোম্যাট অফ দ্য ইয়ার-২০২৫’ পুরস্কারে ভূষিত

বাংলাদেশ হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি সোনিয়া মুন্নি ‘ইয়াং ডিপ্লোম্যাট অফ দ্য ইয়ার-২০২৫’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ফাইল ছবি

ঢাকা, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি সোনিয়া মুন্নি ‘ইয়াং ডিপ্লোম্যাট অফ দ্য ইয়ার-২০২৫’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

লন্ডনে কূটনৈতিক অঙ্গনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন তাকে এই পুরস্কার প্রদান করেছে। 

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লন্ডনের হিলটন হোটেলে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

এটি ছিল ‘ডিপ্লোম্যাট অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডস’-এর ১৫তম আসর, যেখানে বিশ্বের ১শ’টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং কূটনীতিকরা অংশগ্রহণ করেছেন। 

বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক বিষয়াবলির ওপর ভিত্তি করে লন্ডন থেকে প্রকাশিত ‘ম্যাগাজিন ডিপ্লোম্যাট’  প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

এর মাধ্যমে লন্ডনে নিযুক্ত কূটনীতিকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি দেয়া হয় সাময়িকীর তরফ থেকে।
ডিপ্লোম্যাট অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড এমন একটি সম্মাননা, যা যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত কূটনীতিকদের স্বতঃস্ফূর্ত মনোনয়ন ও ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়। লন্ডনে অবস্থিত ১৮০টিরও বেশি দেশের মিশনের প্রতিনিধিরা এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন।

পুরস্কার গ্রহণের সময় সোনিয়া মুন্নি বলেছেন, ‘আমি বিশেষভাবে গর্বিত যে, আমি আমার প্রিয় দেশ বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি এই লন্ডন শহরে। এটা এমন একটি নগরী যা বৈশ্বিক কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দু।’

এই পুরস্কার তুলে দেন বিবিসি’র কূটনৈতিক সংবাদদাতা জেমস ল্যান্ডেল।

সোনিয়া মুন্নি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পররাষ্ট্র বিষয়ক) ক্যাডারের ৩৪তম ব্যাচের একজন পেশাদার কূটনীতিক। 
লন্ডনে নিযুক্ত হওয়া তার প্রথম কূটনৈতিক পোস্টিং, যেখানে তিনি কমনওয়েলথ সংক্রান্ত দায়িত্বে রয়েছেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন, যা তার একাডেমিক উৎকর্ষতা এবং বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।

ইয়াং ডিপ্লোম্যাট অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন নেতৃত্বের উত্থানকে স্বীকৃতি দেয় এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব বিকাশে এই ধরনের স্বীকৃতি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।